তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুন: গত ১৭ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর, সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষীরপাইয়ের হালদারদীঘিতে একটি বাসস্ট্যান্ডের আবেদন জানান ক্ষীরপাই পৌরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান। মুখ্যমন্ত্রী সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন। আর, তারপরই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করলো পূর্ত দপ্তর। ফলে, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আপাতত মাতোয়ারা ক্ষীরপাইবাসী।

thebengalpost.net
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাইতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির উদ্যোগ:

প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষীরপাই হালদারদিঘী এলাকায় একটি বাস-স্ট্যান্ডের দাবি রাখেন ক্ষীরপাই পৌরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান। আর, সেই দাবি মতোই, নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল পূর্ত দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শুভেন্দু অধিকারী পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষীরপাইয়ের হালদার দিঘীতে বাসস্ট্যান্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়, ক্ষীরপাই হালদার দিঘীর কাশিগঞ্জ মৌজায় ৪৩২৭ খতিয়ানে ১৩৫ ডেসিমল জমির মধ্যে ৭৮ ডেসিমল জায়গা পরিবহন দপ্তরকে হস্তান্তর করে পূর্ত দফতর বা p.w.d.। কিন্তু, কোনো এক অজানা কারণে বাসস্ট্যান্ডের কাজ থমকে যায় সেই সময়। এদিন, বাসস্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত জায়গা জরিপ করতে আসে পূর্ত দপ্তর। পূর্ত দফতরের অফিসারেরা এসে, ক্ষীরপাইয়ের হালদার দিঘী এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করনের কাজ শুরু করেন এবং জায়গার দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা মেপে দেখেন।

thebengalpost.net
পূর্ত দফতরের পরিদর্শন :

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষজন দাবি তুলেছিলেন, ক্ষীরপাই পৌর এলাকায় একটি বাস স্ট্যান্ড হোক। কারণ, ক্ষীরপাই হালদার দিঘী থেকে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করে। হাজারো মানুষের আনাগোনা। তা সত্ত্বেও, ক্ষীরপাইয়ে কোন বাস স্ট্যান্ড না থাকায় ক্ষোভ ছিল এলাকাবাসীর। অবশেষে, এদিন পূর্ত দপ্তর জায়গা চিহ্নিতকরণ করায় আশায় আশায় বুক বাঁধছেন এলাকার বাসিন্দারা।