দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ মে: অসীম সাহসিকতায় নিজেদের ‘বাল্যবিবাহ’ বা নাবালিকা বিবাহ রুখে দিয়েছিল ওরা। রবি ঠাকুরের ‘সাধারণ মেয়ে’-র মালতীর মতোই সমস্ত বাধাকে হেলায় উড়িয়েছিল বাসন্তী, বিলকিস ও শ্রাবন্তী। দরিদ্র, অসহায় কিংবা অসচেতন বাবা-মা ও পরিবার-পরিজনদের চাপে নাবালিকা দশায় ‘সংসার’ এর নাগপাশে আবদ্ধ হয়নি ওরা। পড়াশোনা জারি রেখেছে। আরো বড় হতে চায় শালবনীর বাসন্তী কিংবা চন্দ্রকোনা (২ নং)-র শ্রাবন্তী ও বিলকিস। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চেয়ে দশম শ্রেণীর বাসন্তী টুডু এবং একাদশ শ্রেণীর শ্রাবন্তী পাত্র ও বিলকিস খাতুন পারিবারিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে দৃপ্ত কন্ঠে জানিয়েছিলেন, “আরও পড়তে চাই। এখন বিয়ে করবনা।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই তিন ‘সাহসিনী’-কেই বুধবার পুরস্কৃত করলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী। দিলেন সংবর্ধনা ও পাশে থাকার আশ্বাস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের ভগবন্তপুর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তী পাত্র মাত্র ২ দিন আগেই বিডিও’র সাহায্য নিয়ে নিজের বাল্যবিবাহ রূপে দিয়েছিল। চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকেরই মহেশপুর জুনিয়ার হাইস্কুলের বিলকিস খাতুন দিনকয়েক আগে ঠিক এভাবেই রুখে দাঁড়িয়েছিল বিডিও’র সাহায্য নিয়ে। মাসখানেক আগে শালবনীর মৌপাল দেশপ্রান বিদ্যাপীঠের বাসন্তী টুডু-কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আর, প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত আসরে নামতে হয়েছিল স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকেও। তবে, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মেয়েগুলি নিজেরা ‘সাহস’ না দেখালে, শেষ পর্যন্ত হয়তো নাবালিকা দশাতেই তাদের সংসারের হাল ধরতে হত! বুধবার দুপুরে তাই জেলার এই তিন মেধাবী ও সাহসিনী ছাত্রী-কে নিজের দপ্তরে আহ্বান জানিয়ে বিশেষ সম্বর্ধনা দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী।
এদিন, জেলাশাসক তিন ছাত্রীর হাতে উপহার স্বরূপ স্কুল ব্যাগ, বাংলা ও ইংরেজি অভিধান সহ শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেন। সর্বোপরি, ভবিষ্যতেও তিন ছাত্রীর পাশে থাকা আশ্বাস দেন। ছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন তাদের বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরাও। জেলাশাসক তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। দরিদ্র ও খেটে খাওয়া পরিবারের তিন ছাত্রী-ই বলে, “আমরা বড় হয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাই। মানুষের মতো মানুষ হতে চাই।” উল্লেখযোগ্যভাবে তিনজনই হতে চায় পুলিশ অফিসার! তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা মুচকি হেসে বললেন, “প্রতিবাদীরা ছাত্রীরা নিজেদের বিয়ে আটকাতে গিয়ে বুঝেছিল পুলিশ কাকুদের ক্ষমতা! তাই, নিজেরাও পুলিশ অফিসার হয়ে আসলে তাদের মতোই অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে চাইছে।” স্বপ্ন পূরণে ছাত্রীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক তথা জেলা প্রশাসনও।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…