মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জুন: দাঁতনের মোগলমারি বৌদ্ধবিহার-কে কেন্দ্র করে গত কয়েকবছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটেছে নিঃসন্দেহে। তবে, বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন প্রায় ৩ একর (৫ বিঘা) জমি ‘জটে’ আটকে থাকায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষে আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা সম্ভব হচ্ছিল না! এবার, সেই জমি সমস্যার-ই সমাধান হল। ৪০ (চল্লিশ) বছর আগের ভুল সংশোধিত হল। ৪০ বছর পর সরকারি জমি সরকারের অধীনে এল! মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। উল্লেখ্য যে, অতি সম্প্রতি (গত ২ জুন) বদলি বা পদোন্নতির নির্দেশিকা এসেছে ডঃ রশ্মি কমলের। তবে, প্রথম থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যটনশিল্পের প্রসারে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করে গেছেন। এবার, শেষ বেলাতেও চল্লিশ বছর আগের সমস্যা’র সমাধান করে সেই ধারাই অব্যাহত রেখে গেলেন ডঃ রশ্মি কমল। এমনটাই মত জেলার সংশ্লিষ্ট মহলের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের মোগলমারি (Moghalmari) বৌদ্ধবিহার-কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলেও, জমি জটের কারণে, বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ আটকে ছিল। জানা যায়, ওই এলাকার প্রায় ৩ একর জায়গা সরকারি খাসজমি হওয়া সত্ত্বেও, তা ভুল করে কোনোভাবে একটি ক্লাবের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। সেই ভুল সম্প্রতি নির্ধারণ করা হয় বর্তমান জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের তত্ত্বাবধানে। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান সহ অনেকেই এই বিষয়টিতে জেলা প্রশাসনকে সাহায্য করেন। মঙ্গলবার জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল জানান, “৪০ বছর আগের ভুল সংশোধন করে, সম্প্রতি তা জেলা কালেক্টর (জেলাশাসক)- এর নামে রেকর্ড করা হয়েছে।” মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেলাশাসক তথা জেলা কালেক্টর (জেলা সমাহর্তা) জমির কাগজপত্র মোগলমারি উন্নয়ন বোর্ডের হাতে তুলে দেন। উল্লেখ্য যে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন, খড়্গপুরের মহকুমাশাসক। সদস্য হিসেবে আছেন দাঁতনের বিধায়ক (বিক্রম চন্দ্র প্রধান), বিডিও প্রমুখ।