দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৮ অক্টোবর: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতা পৌরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা বর্তমান কো-অর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের! বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ার একটি শিক্ষক শিক্ষণ কলেজ থেকে ফেরার পথে তমলুকের কাছে নিমতৌড়িতে গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন তাঁর স্বামী ও নাবালিকা কন্যা! তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তিস্তা-কে মৃত ঘোষণা করা হয়, স্বামী ও কন্যা চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাঁদের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী’র উদ্যোগে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে! শুভেন্দু ছাড়াও, কলকাতার ডাকাবুকো এই নেত্রী’র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শোকপ্রকাশ করেছেন শাসকদলের নেতা-নেত্রীরাও।
জানা গেছে, M.Ed (Master in Education) -এর শংসাপত্র নিয়ে নিজেদের গাড়িতে করে ফিরছিলেন তিস্তা বিশ্বাস ও তাঁর পরিবার। ফেরার পথেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে! আচমকাই নিমতৌড়ির কাছে পিছন থেকে একটি ট্যাঙ্কার ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়িতে। পিছনের আসনে বসে ছিলেন তিস্তা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ৪৩ এর তিস্তা’র! গুরুতর আহত হয়েছেন তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাস ও মেয়ে অবন্তিকা বিশ্বাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিস্তা-কে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর স্বামী ও কন্যা’র প্রাথমিক ভাবে সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয়। রাতে তিস্তার মেয়ে অবন্তিকা (১২) এবং স্বামী গৌরবকে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে। গৌরব জানান, “হেঁড়িয়ার কলেজ থেকে তিস্তার এমএড-এর শংসাপত্র নিয়ে ফিরছিলাম। নিমতৌড়ির কাছে একটি লরি ব্রেকডাউন হয়ে পড়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়তেই তাতে পিছন থেকে একটি তেলের ট্যাঙ্কার সজোরে ধাক্কা মারে!” কলকাতায় তিস্তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।