দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জুলাই: ধর্মতলার শহীদ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বোঝাই বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের চৌরঙ্গী সংলগ্ন কৃষ্ণপুর (রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন) এলাকায় ১৬ নম্বর (বা, ৬ নম্বর) জাতীয় সড়কের উপর। ‘জয় মা দুর্গা’ নামে বান্দোয়ান গামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৫২ জন গুরুতর জখম হন। পুলিশ ও অন্যান্য তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এবং এলাকাবাসীদের সহায়তায় দ্রুত তাঁদের তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা বিকাশ টুডু নামে বছর ২৮’র এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে ওই বাসটি প্রায় ৬৫-৭০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে নিয়ে ধর্মতলার সভায় গিয়েছিল। ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে! বৃষ্টির কারণেই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। বিকেল ৫টা ৪০ নাগাদ জাতীয় সড়কের উপর কৃষ্ণপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত পৌঁছয় খড়্গপুর গ্রামীন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ওই বাসের পেছনেই আসছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। একে একে ৫২ জন জখম যাত্রীকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বিকাশ টুডু নামে এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়! বাকিরা সকলেই চিকিৎসাধীন আছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে পৌঁছে তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার সাথে-সাথেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা সহ অন্যান্যরা। সন্ধ্যা নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডক্টর সৌম্যশংকর সারেঙ্গী জানান, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন আছে। পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে আছে। কাউকে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন নেই বলেই মনে হচ্ছে। বেশিরভাগ জনের হাতে ও পায়ে চোট আছে। বেশ কয়েকজনের অস্ত্রপচার করার প্রয়োজন আছে বলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” (ছবি- ইন্দ্রনীল রায়।)