দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর: ছুটির পর নার্সারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল মারুতি ওমনি ভ্যান। ঘটনায় ৩ পড়ুয়া সহ আহত হয়েছেন ওই স্কুল ভ্যানের চালক। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চালকের আঘাত বেশ গুরুতর বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পাথরকুমকুমি সংলগ্ন পাথরকুমকুমি-গড়মাল গ্রামীণ রাস্তাতে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরকুমকুমি সংলগ্ন জাড়া এলাকার একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুল এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ছুটি হওয়ার পর, ১১ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওই মারুতি গাড়িটি গড়মালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। গাড়িতে ৩ জন অভিভাবক এবং চালক সহ একটা সময় ১৫ জন ছিলেন! পাথরকুমকুমি ঢোকার কিছুটা আগে ৩ জন পড়ুয়া অবশ্য গাড়ি থেকে নেমে যায়। ১২ জনকে নিয়ে গাড়িটি পাথরকুমকুমি থেকে গড়মালের দিকে যাচ্ছিল গ্রামীণ পিচ রাস্তার উপর দিয়ে। পাথরকুমকুমি থেকে কিছুটা যাওয়ার পরই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের তৎপরতায় দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছয় পুলিশও। গাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সবারই কমবেশি চোট লাগলেও ৩ পড়ুয়ার আঘাত তুলনায় বেশি হওয়ায় তাদের দ্রুত পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাদের সকলেরই বয়স ৪-৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, সবথেকে বেশি আহত হন গাড়ির চালক! সত্তরোর্ধ্ব ওই চালককেও মেদনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাই প্রেশার ও সুগারের রোগী বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। গাড়ির মধ্যেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ! তবে, দুর্ঘটনার অন্যান্য সমস্ত কারণই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে বলে শালবনী থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুল ভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত শিশু শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে ওই চালকের।