দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ মার্চ: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের অধীন ওসি (আর্মারি) অশোক মিস্ত্রি’র। রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী সংলগ্ন মন্ডলকুপি এলাকায় ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার ভোররাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মাত্র ৩৯ বছর বয়সী এই পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। শালবনী ব্লকের মণ্ডলকুপি’র কাছেই মহাশোল কলোনীতে তাঁর বাড়ি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে, কর্মসূত্রে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের কোয়ার্টারেই স্ত্রী ও ৬ বছরের কন্যাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। রবিবারই সপরিবারে বাড়ি এসেছিলেন অশোক (ডাক নাম, বাপ্পা)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে নিজের বাইকে করে মণ্ডলকুপি বাজার থেকে নিজের বাড়ির (মহাশোল কলোনী) দিকে যাচ্ছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। রাত্রি ১১ টা ৪৫ নাগাদ মণ্ডলকুপি বাজার সংলগ্ন এলাকাতেই ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর একটি ১৪ চাকার মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই (৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর) তিনি লুটিয়ে পড়েন! এরপরই, স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত শালবনী থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান তবে, মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। মেডিক্যাল কলেজের এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন! মাত্র ৩৯ বছর বয়সী এই দক্ষ পুলিশ অফিসারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মহলে! মাত্র ৬ বছরের ফুটফুটে মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্য থেকে বুন্ধু-বান্ধব সকলেই শোকে মুহ্যমান! শালবনীর ছত্রছায়া গ্রুপের নুতন ঘোষ থেকে শুরু করে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ সকলেই একবাক্যে বলছেন, “খুব পরোপকারী যুবক ছিলেন অশোক (বাপ্পা)। কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না!” অন্যদিকে, ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে আটক করে শালবনী থানার পুলিশ। ওই ট্রাকটি শালবনীর দিক থেকে ডালমিয়া সিমেন্ট প্ল্যান্টের উদ্দেশ্যে (সিমেন্ট বোঝাই করতে) যাচ্ছিল বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।