thebengalpost.net
মাথায় চোট পেয়েছেন হারু দুলে :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ মার্চ:পরিবারেরই এক সদস্যের মৃতদেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু, সেই শববাহী শকট-ই মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার শালবনী ও মণ্ডলকুপির মাঝামাঝি স্থানে, উল্টো দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির পিকাপ ভ্যানের সঙ্গে মারাত্মক সংঘর্ষ ঘটে গড়বেতা গামী দ্রুতগতির ওই শববাহী শকটের। শববাহী শকটের চালক সহ মোট ৩ জন গুরুতর আহত হন। তিনজনকেই শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজনের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

thebengalpost.net
মাথায় চোট পেয়েছেন হারু দুলে :

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গড়বেতার ফতেসিংপুর এর বাসিন্দা হারু দুলে (৪০) ও ভুজঙ্গ দুলে (৪১) তাঁদের পরিবারের এক সদস্যের মৃতদেহ নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন। মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ার বাসিন্দা সোমনাথ মাইতি (৪১) ছিলেন শহবাহী শকটের চালক। মেদিনীপুর থেকে গড়বেতাগামী ওই শববাহী শকটের গতি অত্যন্ত দ্রুত ছিল বলে জানা গেছে। উল্টো দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানেরও ভালোই গতি ছিল। শালবনী ব্লকের শালবনী থেকে কিছুটা দূরে মন্ডলকুপির কাছাকাছি এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ এবং শালবনী থানার আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা। শববাহী শকটে থাকা তিনজনেই উদ্ধার করে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ির চালক সোমনাথের অবস্থা তুলনায় কম গুরুতর হলেও, হারু দুলে ও ভুজঙ্গ দুলে’র অবস্থা গুরুতর। তার মধ্যে, মাথায় আঘাত পাওয়া হারু’র অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ভুজঙ্গ চোট পেয়েছেন মুখে, নাকে ও গলায়। তিনজনকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।

thebengalpost.net
রক্তাক্ত ভুজঙ্গ দুলে :