দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ আগস্ট: গভীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার ৫ পুলিশকর্মী, আশঙ্কাজনক ২ জন! একজনের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এবং অপরজনকে স্থানান্তরিত করা হল কলকাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত্রি ২ টো নাগাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেদিনীপুর শহরের কেরানীচটি এবং শালবনী থানার ভাদুতলা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত মেদিনীপুর সিটি কলেজের সামনে ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর রাতের টহল (নাইট পেট্রোলিং) চলছিল শালবনী থানার পুলিশকর্মীদের। রাত্রি ২ টো নাগাদ ৪ জন পুলিশকর্মী সহ গাড়ির চালক গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। সেই সময় মেদিনীপুর গামী একটি ট্রাক রাস্তার বেশ কিছুটা ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ভ্যানে সজোরে ধাক্কা মারে! গুরুতর আহত হন ভেতরে থাকা ৫ জনই। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পৌঁছন শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। যে ২ জনের আঘাত সবথেকে গুরুতর ছিল, তাঁদের মধ্যে একজনকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। এদিকে, সুযোগ বুঝে ট্রাকের চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে দু’টো নাগাদ ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে! পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নাইট পেট্রোলিংয়ের সময় একটি দশ চাকার ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে পুলিশ গাড়িটিকে। চালক পালিয়ে যাওয়ায় মদ্যপ ছিল কিনা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে তাদের (চালক ও খালাসি) খোঁজে তল্লাশি চলছে। আশঙ্কাজনক দুই পুলিশকর্মী হলেন কনস্টেবল বিপ্লব পান্ডা এবং এন ভি এফ কর্মী পরিমল সিং। বিপ্লব-কে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিমল চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাকি ৩ জনের আঘাত তুলনায় স্বল্প হওয়ায়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে শালবনী থানায় আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।