দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা (ভৌত বিজ্ঞান)। আর, পরীক্ষা শুরুর মুখেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। তবে তা কয়েক মিনিটের জন্য! প্রশাসনের তৎপরতায় এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের সহযোগিতাঅ্যা দ্রুত জেনারেটরের ব্যবস্থা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। ঘাটালের নটুক বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, গড়বেতার মায়তা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে এই সমস্যা হয় বলে অভিযোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা। তিনি জানান, “প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়।” এছাড়াও, মেদিনীপুর শহরের মোহনানন্দ বিদ্যামন্দির সহ জেলার অন্তত ১৫টি স্কুলে এমার্জেন্সি জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। সুভাষ জানান, “ওই সমস্ত স্কুলগুলি আগে থেকেই জানিয়েছিল, তাঁদের জেনারেটরের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তাই আগে থেকেই জেনারেটর পাঠানো হয়েছিল।”

অপরদিকে, ঘাটাল মহকুমার দাসপুর এলাকায় বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে সমস্যায় পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। দাসপুর থানার পুলিশ দেখতে পেয়েই পুলিশের গাড়িতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। অন্যদিকে, সোনামনি খাতুন নামে কেশপুর গার্লস হাই স্কুলের এক ছাত্রী প্রায় দু’ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই তার পরীক্ষাকেন্দ্র মুগবসান হাক্কানিয়া হাই স্কুল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই ছাত্রীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়। এছাড়া, সুপ্রিয়া চক্রবর্তী নামে খড়িকা হাই স্কুলের এক ছাত্রী ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট পরীক্ষা দেওয়ার পর শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার পরীক্ষাকেন্দ্র সারতা তারকনাথ ইনস্টিটিউশন থেকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ আর পরীক্ষাকেন্দ্রে ফিরে গিয়ে বাকি পরীক্ষা দেয় সুপ্রিয়া। এছাড়াও, জেলা জুড়ে ৪-৫ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থতার কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কনভেনর সুভাষ হাজরা। সবমিলিয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা যায়, মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা (ভৌত বিজ্ঞান) দিয়ে হাসিমুখেই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।