দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জানুয়ারি: কলকাতা থেকে কিনে এনেছিলেন শখের কাকাতুয়া। সেই কাকাতুয়াকে বাঁচাতে গিয়েই পুকুরের জলে তলিয়ে গেলেন যুবক! বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার জাড়া গ্ৰামের রুইদাস পাড়া এলাকায়। জানা যায়, বছর ৩৮-র শ্রীরাম রুইদাসের বাড়ি চন্দ্রকোনা থানার জাড়া এলাকায়। সামান্য চাষবাস এবং দিনমজুরির কাজ করতেন শ্রীরাম। বাড়িতে স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে। অভাবের সংসার হলেও, পাখি পোষার শখ ছিল তাঁর। কলকাতা থেকে কিনে এনেছিলেন দু’টি কাকাতুয়া। দিনরাত সেগুলি নিয়েই সময় কাটাতেন শ্রীরাম।

thebengalpost.net
শোকের ছায়া এলাকায়:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ওই কাকাতুয়া পাখি দু’টিকে স্নান করাতে নিয়ে এলে, খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ে একটি কাকাতুয়া। তারপর ওই কাকাতুয়াটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। শখের পাখিকে বাঁচাতে পরনের পোশাক পুকুর পাড়ে খুলে রেখে শ্রীরামও ঝাঁপ দেন দীঘির ন্যায় মস্ত পুকুরে। কাকাতুয়ার পেছন পেছন সাঁতরে পুকুরের এক পাড় থেকে প্রায় অন্য পাড়ে পৌঁছে শ্রীরাম দেখেন কাকাতুয়াটি মারা গিয়েছে। এরপর, পাখিটিকে জল থেকে আর না তুলে, পুকুরের পাড়ের দিকে এগিয়ে যান শ্রীরাম! কিন্তু, একদিকে কাকাতুয়ার শোক, অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ সাঁতারের ফলে তাঁর দম শেষ হয়ে আসে। হঠাৎই প্রতিবেশীরা দেখেন, জলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন শ্রীরাম। এরপরই জলে তলিয়ে যান বছর ৩৮-র শ্রীরাম রুইদাস। তাঁকে বাঁচানোর জন্য পাড়ার লোকজন এগিয়ে যায় এবং বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু, বিশাল পুকুরে তলিয়ে যাওয়ায়, আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। শেষমেশ খবর দেওয়া হয় পুলিশ-প্রশাসন ও ডুবুরিদের। বিকেল নাগাদ পুকুরে নামানো হয় NDRF-র একটি টিম। সন্ধ্যা নাগাদ শ্রীরামের দেহ উদ্ধার হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম! শোকস্তব্ধ পরিবার!

thebengalpost.net
ডুবুরি নামিয়ে করা হয় উদ্ধার: