দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: শহর মেদিনীপুরের অনয় মাইতি’র আয়োজন মানেই মানবপ্রেম, সহানুভূতি আর সৌহার্দ্যের বার্তা! তা সে যেকোন উৎসব অনুষ্ঠান হোক কিংবা জন্মদিন পালন। নিজে জন্মদিন পালন করেন রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির আর বিশেষভাবে সক্ষমদের হুইল চেয়ার বা ট্রাই সাইকেল উপহার দেওয়ার মধ্য দিয়ে। স্ত্রী, সন্তানদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়না! কারণ, মেদিনীপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী অনয় মাইতি মনে করেন, “মানবপ্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়েই তো মনুষ্য জীবনের সার্থকতা!”
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ছিল মেদিনীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কর্নেলগোলা এলাকার বাসিন্দা তথা ৯নং ওয়ার্ড নাগরিক উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক অনয় মাইতি’র একমাত্র কন্যা সুচী’র ১৬তম জন্মদিন। আর সেই জন্মদিন পালন করার জন্য অনয় বেছে নিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের আবাসনে অবস্থিত পৌরসভার বৃদ্ধাশ্রম (আরবান হোমলেস সেন্টার)-কে। পরিবার-পরিজন বিচ্ছিন্না, অসহায় ৩০ জন বৃদ্ধার হাতে ‘ভালো থাকবেন’ বার্তা সহ গ্রিটিংস কার্ড আর শীতের ‘উষ্ণতা’ স্বরূপ চাদর তুলে দিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেয় অনয়-কন্যা সুচী। শুধুই কি তাই, নিজের হাতে তাঁদের কেক খাইয়ে এবং শীতের দুপুরে ভুরিভোজের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই মহতী আয়োজন সম্পূর্ণ করেন মাইতি পরিবার। উপস্থিত ছিলেন ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌরভ বসু, সমাজসেবী সুরজিৎ সরকার, এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
এখানেই অবশ্য শেষ নয়! দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই, পরিবারের সকলকে নিয়ে অনয় ছুটে যান শহর মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে সবংয়ে। সেখানে (নিশ্চিন্তা, খাগড়াগেড়িয়া) বিশেষ ভাবে সক্ষম সুধাংশু ঘোষকে একটি ট্রাই সাইকেল উপহার দেন অনয়। পাশে ছিলেন স্ত্রী স্মৃতিকণা মাইতি, ছেলে শিবম মাইতি এবং অতি অবশ্যই ‘বার্থডে গার্ল’ সুচী মাইতি। উল্লেখ্য যে, এর আগে স্ত্রী ও ছেলের জন্মদিনও ঠিক এভাবেই অসহায় মানুষজনদের পাশে দাঁড়িয়ে পালন করছিলেন মেদিনীপুরের ‘ব্যতিক্রমী’ ব্যক্তিত্ব অনয় মাইতি। অনয় অবশ্য বলেন, “মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থেকে নিজেদের ভালো-মন্দ ভাগ করে নিচ্ছি মাত্র!”