দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ নভেম্বর: কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দীর্ঘদিনের দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে থাকার অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পুজোর ছুটির শুরু থেকে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর থেকে চলতি মাসের ৪ নভেম্বর, এই একমাসের মধ্য বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে সুপারকে ‘দেখা যায়নি’ বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ এনেছিলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহকুমা হাসপাতালেরই একাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের উপদেষ্টা দিলীপ সরখেল। এনিয়ে সোমবার (৪ নভেম্বর) জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলছিলেন, তিনি এই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ না পেলেও বিভিন্ন সূত্র মারফত বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং অবিলম্বে হাসপাতাল সুপারকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই পুরো বিষয়ের ব্যাখ্যাও চেয়েছিলেন তিনি। এরপর, আজ, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্দিষ্ট সময়েই হাসপাতালে দেখা যায় সুপারকে। সেই সঙ্গে এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগও অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, অসুস্থ কারণে ৬ অক্টোবরই ১০ দিনের জন্য অনলাইনে বিশেষ ছুটির (স্পেশাল লিভ) আবেদন করছিলেন তিনি। তারপর যথারীতি হাসপাতালেও এসেছেন। বিভিন্ন কাজকর্ম এবং বৈঠকেও যোগ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য এই সমস্ত রটনা বা কুৎসা করে বেড়াচ্ছেন আমার বিরুদ্ধে।”