দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২২ অক্টোবর: বিপদের নাম ‘দানা’ বা ‘ডানা’ (Dana)। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার (Qatar)। এর অর্থ ‘উদারতা’ বা ‘দান’ বা ‘ভিক্ষা’। আরবিতে ‘সুন্দর’ বা ‘মূল্যবান’-কেও ‘দানা’ রূপে অভিহিত করা হয়। যদিও, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র এখনও জন্ম হয়নি বঙ্গোপসাগরে। তবে, সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তা সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে মৌসম ভবন বা আলিপুর আবহাওয়া দফতর সোমবার জানিয়েছে। তার আগে সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসনই। সৈকত শহর পুরী মঙ্গলবারের মধ্যেই দৃশ্যত পর্যটক-শূন্য করা দেওয়া হচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের বুধবারের আগেই পুরী ছাড়ার জন্য বলে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোনও পর্যটককে পুরী ভ্রমণে না আসার পরামর্শও দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।

thebengalpost.net
উত্তাল হতে পারে দীঘা:

ওড়িশা সরকারের তরফে সোমবার প্রকাশিত বুলেটিন বা সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ অক্টোবর রাতে পুরী সংলগ্ন স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুরী, খুরদা, গঞ্জাম এবং জগৎসিংপুর জেলা। জানানো হয়েছে, ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল অবধি উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই দু’দিন লাল সতর্কতা জারি করেছে ওড়িশা সরকার। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও বুধবার হলুদ সর্তকতা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। দীঘা, তাজপুর, মান্দারমনির ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দুর্যোগের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়া— এই ৮ জেলায়। ওড়িশা সংলগ্ন মেদিনীপুর, খড়্গপুর, দাঁতন, মোহনপুর সহ জেলাজুড়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ‘লাল সতর্কতা’ (Red Alert) জারি করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও। ইতিমধ্যে বাংলার জন্য এনডিআরএফের (NDRF) ১৪টি দল এবং ওড়িশার জন্য ১১টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী দুর্যোগ কবলিত এলাকায় তাঁদের মোতায়েন করা হবে।

thebengalpost.net
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা: