দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ অক্টোবর: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজে ‘গণইস্তফা’-র পথে হাঁটছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। আর জি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অন্তত ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন বলে জানা যায়। এই সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একাধিক সিনিয়র চিকিৎসকও ‘ইস্তফা’ দিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ সিনিয়র চিকিৎসকেরা এনিয়ে একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন বলেও জানা যায়। ‘পরিষেবা’ প্রদান থেকে নিজেদের না সরিয়ে, তাঁরা ‘গণইস্তফা’-র মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর পক্ষপাতী বলেই জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, সিনিয়র চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’ শুরু হয় আর.জি.কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে। মঙ্গলবার একসঙ্গে ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ‘গণইস্তফা’ দেন। বুধবার সেই পথেই হাঁটে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা। প্রস্তুতি চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অস্থিবিভাগের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথী সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ছেলেমেয়েগুলির মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা এই পথে হাঁটতে বাধ্য হলাম। এত ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অন্য দিকে, সরকার যদি আলাদা আলাদা ভাবে ইস্তফাপত্র চায় সেটাও আমরা দিয়ে দেব।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় যে সুনাম অর্জন করেছি তা আমাদের যোগ্যতার বলে। কাজেই আমরা ইস্তফা দিয়ে কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না! পাশাপাশি পরিষেবাও বন্ধ নেই। ইস্তফাপত্র স্বাক্ষর করে কাজে ফিরছেন সকলেই। যাঁরা অনশনমঞ্চে রয়েছেন তাদের কিছু হয়ে গেলে তার দায় কে নেবে! সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, বড় পদক্ষেপের আগে সরকার তাঁদের দাবি পূরণ করুক।”