দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যার ভ্রুকুটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশে! দুশ্চিন্তা বেশি ঘাটাল মহকুমা নিয়েই। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এদিকে, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থানকারী নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিমে অর্থাৎ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরছে। ফলে সোমবার সকাল (প্রায় ৯টা) অবধি বৃষ্টির দাপট চলবে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা জুড়ে। সকাল ৯টা অবধি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির ‘লাল সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়াতে। তারপর অবশ্য বৃষ্টির দাপট কমবে এই দুই জেলায়।
তবে, সোমবারও ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে রবিবার রাতে জানা গেছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় জেলা শহর মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ৬৫ মিমি। এদিকে, রবিবার গভীর রাত অবধি টানা বৃষ্টির জেরে বিপজ্জনক হারে জল বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের শিলাবতী ও ঝুমি নদীতে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে প্রায় সবকটি বাঁশের সাঁকো। নৌকাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর জল বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাটাল পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড (নিচু ওয়ার্ডগুলি) ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ছে। অন্যদিকে, জলমগ্ন হয়েছে চন্দ্রকোনার বেশ কয়েকটি গ্রামও। শিলাবতী নদীর বাঁকা পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম প্রস্তুত আছে।
ঠিক একইভাবে, দু’দিনের রেকর্ড বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শীলাবতী, কংসাবতী, শালী সহ জঙ্গলমহলের প্রায় সব নদনদী। বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন জেলাবাসী। গাঙদুয়া, মুকুটমণিপুর জলাধার টইটম্বুর। জল ছাড়া হচ্ছ ওইসব ড্যাম থেকে। এর ফলে প্লাবিত হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা!