দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ সেপ্টেম্বর: ৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর। ‘অভয়া’ বিচারহীন এক মাস। আজ, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম-শুনানির পরও ‘অভয়া’ বা ‘তিলোত্তমা’ হত্যাকাণ্ডে সুবিচারের আলো তেমনভাবে ফুটে ওঠেনি। আন্দোলনও তাই থামার ইঙ্গিত নেই এখনই! পূর্ব ঘোষিত সূচি মেনেই সোমবার তাই ‘বিচারহীন-অভয়া’র স্মৃতিতে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে রাত্রি ঠিক ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য নীরবতা করলেন আপামর সাধারণ মানুষ তথা প্রতিবাদী জনতা। পরবর্তী ৯০ মিনিট ধরে চলে মানববন্ধন, পথনাটিকা, মিছিল সহ প্রতিবাদমূলক নানা কর্মসূচি। মেদিনীপুর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় (এক্সিস ব্যাঙ্কের সামনে) এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করতে পথে নামেন অসংখ্য ছাত্র-যুব থেকে আট থেকে আশির সাধারণ মানুষ। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা।

thebengalpost.net
৯ মিনিটের জন্য নীরবতা:

thebengalpost.net
মানববন্ধন:

অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়ল এবার ‘রেল শহর’ খড়গপুরের প্রসিদ্ধ গণেশ পুজোর বিসর্জনেও! বিসর্জনের শোভাযাত্রাতে মশাল হাতে পুজো উদ্যোক্তা সহ এলাকাবাসীরা আওয়াজ তুললেন, “জাস্টিস ফর আরজিকর”, “তিলোত্তমার বিচার চাই।” প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মতো এবারও ঘটা করে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ খড়্গপুরে গণেশ পুজো অনুষ্ঠিত হল। তবে, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পুজোয় জাঁকজমক ছিল অনেকটাই কম! তার থেকেও বড় কথা, সাধারণ মানুষের মধ্যেও পুজো ঘিরে উৎসাহ-উন্মাদনা অনেকটাই কম ছিল এবার। নেপথ্যে আসলে দেবীর বোধনের আগেই তিলোত্তমা’র বিসর্জনের সুর! বিষাদের সুর যেন সর্বত্র। তার সঙ্গেই আছে এই অন্যায়-অমানবিকতা-নৃশংসতার ‘বিচার’ চেয়ে তীব্র লড়াইয়ের জেদ। এবার, খড়্গপুর শহরে গণপতি বাপ্পা বা গণেশ ঠাকুরের বিসর্জনেও সেই প্রভাব লক্ষ্য করা গেল। সোমবার রাতে ইন্দার উদয়ন সঙ্ঘের বিসর্জনের শোভাযাত্রাতে দেখা গেল নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মশাল হাতে সামিল হয়েছেন এলাকাবাসী। আর, “গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, আগলে বরষ জলদি আ…”-র পরিবর্তে উঠল “তিলোত্তমার বিচার চাই” কিংবা “জাস্টিস ফর আরজিকর” স্লোগান। সুবিচারের দাবিতে যে শহরবাসী এককাট্টা, অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান; এদিনের এই অভিনব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আবারও তা প্রমাণিত হল!

thebengalpost.net
খড়গপুরে বিসর্জনেও মশাল মিছিল: