দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ সেপ্টেম্বর:পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশে বড়সড় রদবদল করলেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার (SP Paschim Medinipur)। একাধিক থানার OC (Officer in Charge), পুলিশ ফাঁড়ির (আউপপোস্ট/পুলিশ বীট হাউস/পুলিশ পোস্ট) ইনচার্জ সহ মোট ১৬ জন SI (Sub inspector) এবং ২ জন ASI-র বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুড়গুড়িপাল থানার ওসি সমীর সর্দারকে বদলি করা হচ্ছে খড়্গপুর টাউন থানার SI হিসেবে। গুড়গুড়িপাল থানার নতুন ওসি হচ্ছেন মনোরঞ্জন শিট। তিনি গড়বেতা থানার অধীন সন্ধিপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন। সন্ধিপুরের নতুন ইনচার্জ হচ্ছেন রাজেশ পড়ুয়া। তিনি নারায়ণগড় থানা থেকে বদলি হচ্ছেন। শালবনী থানার সেকেন্ড অফিসার বা মেজ বাবু প্রদীপ সিং-কে বদলি করা হচ্ছে চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বীট হাউসের ইনচার্জ হিসেবে। অপরদিকে, চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বীট হাউসের ইনচার্জ চিন্ময় প্রামাণিক-কে পিংলা থানার ওসি বা অফিসার ইনচার্জ হিসবে বদলি করা হচ্ছে। পিংলা থানার ওসি গোবর্ধন সাহু বদলি হচ্ছেন বেলদা থানার ওসি হিসেবে। বেলদা থানার ওসি সুজিত ঘোষকে খড়্গপুর থানায় বদলি করা হচ্ছেন। বেলদা থানার অধীন জোড়াগেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিক আলমকে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় বদলি করা হচ্ছে। জোড়াগেড়িয়ার নতুন ইনচার্জ হচ্ছেন দীপক কুমার দে। তিনি পুলিশ লাইনের DCRB-তে ছিলেন। এছাড়াও, সবং থানার দুই এসআই সুদীপ কর এবং সুকুমার ঘোষকে যথাক্রমে বদলি করা হয়েছে খড়গপুর গ্রামীণ থানা ও আনন্দপুর থানাতে।
অন্যদিকে, রেলশহর খড়গপুরে ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী বা গণপতি বাপ্পার পুজো। তিথি অনুযায়ী, আগামী শনিবার অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই উৎসবে মেতে উঠবেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’ খড়্গপুরের বাসিন্দারা। আর সেই উপলক্ষেই মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন পূজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে যাতে কোন খামতি না থাকে, সেজন্যই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। তারপর, খড়গপুর শহরের সিএমই গেট এলাকায় নিজের বাংলোতে পুলিশ অধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তিনি। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা পুলিশ সুপার জানান, “রেল শহরের বাসিন্দারা ধুমধামের সঙ্গে গণেশ পুজো করেন। বেশ কয়েকটি পুজো খুব বড় মাপের হয়। সেই জায়গাগুলি আজ পরিদর্শন করলাম। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোন ত্রুটি না থাকে কিংবা শহরে যানজট পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”