দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১০ আগস্ট: শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা নাগাদ মুম্বইগামী শালিমার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসে (Shalimar-LTT Express) যান্ত্রিক গোলযোগের খবর পৌঁছয় খড়গপুর ডিভিশনে (Kharagpur Division)। দ্রুত ওই ট্রেনটিকে থামানো হয় খড়্গপুর ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনে। এরপর, খড়্গপুর ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের তৎপরতায় প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে মেরামতির কাজ চালানো হয়। তারপরই রাত্রি ৯টা নাগাদ ট্রেনটি রওনা দেয় মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে। রেলের তৎপরতায় বড়সড় বিপদ থেকে তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন বলে মনে করছেন যাত্রীরা!

thebengalpost.net
শালিমার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস (ফাইল চিত্র):

জানা যায়, শালিমার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের B-1 কামরার বাফারে কিছু সমস্যা হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে সেই খবর পৌঁছনোর পরই খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি স্টেশনে ট্রেনটিকে থামানো হয়। এরপরই, মেরামতির কাজ করা হয়। এই ঘটনায় ট্রেনটিকে প্রায় ২ ঘন্টা থামতে হলেও, যাত্রীদের সুরক্ষিত ভাবে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন খড়্গপুর ডিভিশনের আধিকারিকরা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ADRM মনীষা গোয়েল জানান, “শালিমার থেকে এলটিটি (মুম্বই)-র উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাচ্ছিল। ট্রেনের B-1 কামরায় সমস্যার কথা জানতে পেরে, খেমাশুলি স্টেশনে ট্রেনটিকে থামানো হয়। দ্রুত ওই সমস্যা রেক্টিফাই করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খড়্গপুর থেকে একটি টিম এসে আধ ঘন্টার মধ্যেই যান্ত্রিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে।” যান্ত্রিক গোলযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যখন এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটে তখন আমাদের প্রথম কাজ হয় যাত্রীদের সুরক্ষা। কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। ট্রেন যাত্রীরাও সহযোগিতা করেছে আমাদের।”

thebengalpost.net
ADRM মনীষা গোয়েল: