দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ আগস্ট: দুপুরের বাসি তরকারি (Stale food) খাওয়ানো হয়েছিল রাতে। আর, তা খেয়েই অসুস্থ হল হস্টেলের (ছাত্রাবাসের) ৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। তাদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাচরা সংলগ্ন তেল্যা হাই স্কুলের (তেল্যা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দিরের) ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শুক্রবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ওই খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

thebengalpost.net
অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর সদর ব্লকের তেল্যা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ও ছাত্রীদের হস্টেলে সবমিলিয়ে ১৬০ জন পড়ুয়া থাকে। অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাত্রি ১০টা নাগাদ তাদের রাতের খাবার দেওয়া হয়। সেই সময়ই তাদের দুপুরের তরকারি খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। আর তা খেয়েই শুক্রবার সকাল থেকে অসুস্থ হতে শুরু করে একে একে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী। সকলেরই পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার উপসর্গ। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ৪৬ জনকে স্থানীয় পাঁচখুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার মধ্যে ৩৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, “দুপুরের ঠান্ডা বাসি তরকারি রাতে গরম ডালের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা খেয়েই ভোর থেকে আমাদের মধ্যে অনেকের বমি-পায়খানা শুরু হয়। অনেকে আবার স্কুল চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ি।” শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “খবর পাওয়ার পরই স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম স্কুলে পৌঁছেছে। সমস্ত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। দুপুরের খাবার রাতে খাওয়ার ফলে, কোন কারনে খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এমনটা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে।”