দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৭ মার্চ:’ভারতমালা’ প্রকল্পে দক্ষিণবঙ্গের খড়্গপুর থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পর্যন্ত ফোর লেনের ‘ইকোনমিক করিডোর’ (Economic Corridor) তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)। এটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছবে। এই ১১৬এ (NH 116A) জাতীয় সড়কটি জাতীয় সড়ক নং ৬০, জাতীয় সড়ক নং ৩৪ এবং সবশেষে জাতীয় সড়ক নং ১২-র সঙ্গে মিশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাবে। এর ফলে, খড়্গপুর এবং মোরগ্রামের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব কমবে!
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে যথাক্রমে ৬০নং কিংবা ৬নং জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি গেলে প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হত। সময় লাগত ১৪-১৫ ঘন্টা। নতুন ১১৬এ জাতীয় সড়কের ফলে দূরত্ব কমবে প্রায় ১০০ কিমি বা তার থেকেও বেশি। ফলে সময়ও বাঁচবে অন্তত ৪-৫ ঘন্টা। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানায়, এই জাতীয় সড়কের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। খরচ হবে প্রায় ১০,২৪৭ কোটি টাকা। জাতীয় সড়কটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদে গিয়ে জুড়বে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এই নতুন এই ইকোনমিক করিডোর বা জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ হতে পারে বলেও জতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, নতুন এই জাতীয় সড়কটির ৫৬.৫ কিলোমিটার অংশ থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। যা জেলার ৫টি ব্লকের ১১৫-টি মৌজা ছুঁয়ে যাওয়ার কথা। ওই ব্লকগুলি হল যথাক্রমে—খড়্গপুর-২, মেদিনীপুর (সদর), কেশপুর, চন্দ্রকোনা-১ এবং ২। এর মধ্যে খড়্গপুর-২ ব্লকে রয়েছে ৮টি মৌজা, মেদিনীপুরে (সদর) ১৩টি, কেশপুরে ৫৮টি, চন্দ্রকোনা ১-এ ১৯টি এবং চন্দ্রকোনা ২-এ ১৭টি মৌজা রয়েছে। ওই সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে অধিগ্রহণ করতে হতে পারে ৯৩০ থেকে ৯৫০ একর জমি। এর মধ্যে ৮০০ থেকে ৮৫০ একর জমি রায়তি এবং বাকিটা খাস বলে জানা গেছে।