দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ: শেষ ফাল্গুনের বিকেলে যেন প্রাক কালবৈশাখীর তাণ্ডব! ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত। বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আনন্দপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের! মৃত্যু হয়েছে দু’টি গবাদি পশুরও। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশপুরের ৬ নং জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঈশান গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক অশোক পাতর (৫৩) বুধবার বিকেলে মাঠে গরু নিয়ে লাঙ্গল করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বজ্রপাতে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন! এদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’টি গবাদি পশুরও। ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে!

thebengalpost.net
কেশপুরে:

জানা যায়, মৃত অশোক পাতরের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে আছেন। বিঘা তিনেক কৃষিজমিতে চাষবাস করেই চলতো সংসার। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় যেন বাজ ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবারের মাথার উপরই! এদিকে, ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। প্রশাসনের তরফে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে, প্রায় একই সময়ে শালবনীর গোবরু গ্রামে ক্ষনিকের ঝড়ে ঘটে যায় আরেক দুর্ঘটনা! বিকেল ৫-টা নাগাদ ঝড়ের তীব্রতায় গোবরু গ্রামে কালীপদ ঘোষের বাড়ির উঠোনে থাকা একটি গাছ ভেঙে পড়ে অ্যাসবেস্টসের চালার উপর। সেই সময় বাড়ির ভেতরেই ছিলেন গৃহকর্তা কালীপদ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী দেবদাসী ঘোষ। তাঁদের মাথায় ও শরীরে অ্যাসবেস্টসের টুকরো ভেঙে পড়ে। জখম হন দু’জনই! দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন শালবনী থানার আই.সি সহ পুলিশ আধিকারিকরা। আপাতত তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ ওই বাড়িতে ত্রিপল সহ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইসি। অপরদিকে, এদিন শালবনী, গড়বেতা সহ বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবও দেখা গেছে। গড়বেতা সহ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা!

thebengalpost.net
শালবনীতে: