দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ ডিসেম্বর: “শালবনীতে তো শিল্পের গলা টিপে মেরে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি RSS-র প্রোডাক্ট! এই জঙ্গলমহলের মাটিতেই তো একাংশের মিডিয়া, বাইরে থেকে টাকা আর রাজনাথ সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপির কিছু নেতা, বুদ্ধিজীবীরা এবং কিছু সমাজসেবীরা, যারা আসলে মুখোশটা পরে থাকে, কিন্তু কর্পোরেটদের পয়সায় চলে; তারা এখানে এসে মাটি খুঁড়েছিল। চাষ করেছিল। গাছ বেরিয়েছে। নাম মমতা ব্যানার্জি! RSS এর প্রোডাক্ট। ওরা হিন্দু ধর্মকে গুরুত্ব দেয়। এরা মুসলিম ধর্মকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সরকার শিল্পেও জটিলতা তৈরী করে রেখেছে, যেমন চাকরিতেও জটিলতা তৈরী করে রেখেছে। আসলে এই সরকার ফেল করে গেছে, এই সরকার অপদার্থ! এদের দ্বারা শিল্প তৈরী হবেনা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে শিল্পের লাশ পড়ে আছে! এখানে কোনো ইনভেস্টার (বিনিয়োগকারী) আর আসবেনা।” ইনসাফ-যাত্রার মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠিক এভাবেই শিল্প-ইস্যুতে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে কটাক্ষ করেছেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।

thebengalpost.net
মেদিনীপুরে ইনসাফ যাত্রা:

উল্লেখ্য যে, কাজ ও শিক্ষার অধিকার বুঝে নাও; দুর্নীতিবাজ, দাঙ্গাবাজ হঠাও; দেশ বাঁচাও, রাজ্য বাঁচাও- এই স্লোগান-কে সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে কলকাতা ‘ইনসাফ যাত্রা’ শুরু করেছে সিপিআইএমের যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআই (DYFI)।মঙ্গলবার ৩৩ দিন অতিক্রান্ত করে, প্রায় ২০০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সেই ইনসাফ যাত্রা প্রবেশ করে মেদিনীপুর শহরে। ইনসাফ যাত্রার সমর্থনে সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চকে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে একটি ইনসাফ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন DYFI-র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন। পাশাপাশি আগামী ৭ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডে জনসমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বাম কর্মী-সমর্থক থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ-কে।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শালবনীতে জিন্দলদের ছেড়ে দেওয়া জমিতে সৌরভ গাঙ্গুলীর ইস্পাত কারখানা তৈরীর ঘোষণা প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, “শালবনীতে তো শিল্পের গলা টিপে মেরে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী! শালবনীতে ইন্টিগ্রেটেড শিল্প হওয়ার কথা ছিল। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, আশেপাশের জেলার কয়েক হাজার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ছিল। আজ যারা বাইরের রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে গেছে। আর, এখন স্পেন-দিল্লি-হিল্লি ঘুরে রাজ্যে আধখানা শিল্প নিয়ে এসেছেন! সৌরভ গাঙ্গুলির নামটা যদি উনি ইমোশন ব্যবহার করতে চাইছেন; ভুল করছেন। মানুষ বোকা নয়। যেদিন সত্যি সত্যিই শালবনীতে সৌরভ গাঙ্গুলীর কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোবে, সেদিন বুঝব এ রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই রাজ্যের জন্য কিছু করেছেন।”

thebengalpost.net
মীনাক্ষী মুখার্জি সহ DYFI নেতৃত্ব: