দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ নভেম্বর: বছর তিনেক আগেই ‘আলোয় আলোয়’ সাজিয়ে তোলা হয়েছিল পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ। ঘটা করে পথবাতি চালু করে ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ গ্রাম সহ আশেপাশের রাস্তা একপ্রকার আলোয় মুড়ে দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই গ্রামই এখন ডুব দিয়েছে অন্ধকারে! শুধুমাত্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন এবং তার সামনের অংশ ছাড়া গ্রামে প্রবেশের রাস্তা সহ অন্যান্য অংশের পথবাতি এখন অকেজো! ফলে সন্ধ্যার পরই আঁধার নামে গ্রামে। গত প্রায় ৬-৭ মাস ধরে বীরসিংহের প্রবেশপথ সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাগানো বেশিরভাগ পথবাতি অকেজো বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। একের পর এক পথবাতি যে অকেজো, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সচিব তথা ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস।
এ নিয়ে মহকুমাশাসক বলেন, “বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আলো রয়েছে। সম্প্রতি আরও কিছু বাহারি আলো নতুন করে লাগানো হয়েছে। তবে, গ্রামের রাস্তায় বেশ কিছু পথবাতি খারাপ হয়েছে। পথবাতি মেরামতির জন্য এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হওয়ার পর কাজ শুরু হবে।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বি-শত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে ‘আদর্শ গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অঙ্গ হিসেবে বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।
মোট ৬৬২-টি পথবাতি বসানো হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক পথবাতি অকেজো হতে শুরু করে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যার পর আলো জলে না পথবাতিতে। এমনকি, কোন কোন পথবাতীর বাল্ব উধাও হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার স্থানীয় মানুষ ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাল্ব। বর্তমানে ৪৬২-টি পথবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামের গৌতম ঘোষ, সুকুমার পান, দেবীদাস মুখার্জি সহ বাসিন্দারা চাইছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমাজকে ‘শিক্ষার আলো’য় আলোকিত করা পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামকে আবার আলোয় ফিরিয়ে আনুক।