দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ নভেম্বর: গতানুগতিক চাষে লাভ কমছে ক্রমশ। তাই, বিকল্প কৃষিকাজে মন দিচ্ছেন অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে ড্রাগন ফলের উৎপাদন অত্যন্ত লাভজনক এক বিকল্প-কৃষি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে বাংলার কৃষকদের কাছে। আবার, এই ড্রাগন ফলের চাষে সাহায্য করে দেশী মুরগি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ফার্ম করে দেশী মুরগির চাষ করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি দেশী মুরগি ও তার ডিম বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভের মুখও দেখছেন! এমনই দাবি তাঁর।

thebengalpost.net
ড্রাগন চাষ :

কিন্তু, ড্রাগন চাষে কিভাবে সাহায্য করে দেশী মুরগি? পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোগ্রামের সুব্রত মাহেশ জানান, ড্রাগনের প্রধান শত্রু পিঁপড়ে। ছোট ছোট মুরগি পিঁপড়ে-কে খাবার হিসেবে খেয়ে নেয়। পিঁপড়ের বাসা, মুরগি ভেঙে দেওয়ার কারণে গাছে তেমন ক্ষতি হয় না। পাশাপাশি ড্রাগন গাছ বড় হলে তার নিচে অন্য কিছু চাষ করা যায় না। অন্যদিকে, ড্রাগন গাছের নিচে ঝোপঝাড়, এমনকি নানান পোকামাকড়ের জন্ম হয়। যা ক্ষতি করে ড্রাগন চাষে। স্বাভাবিকভাবে এই দেশি মুরগি পোকামাকড় খেয়ে নেয়। যার ফলে ক্ষতি হয় না ড্রাগন গাছের।

অপরদিকে, ড্রাগন চাষের পাশাপাশি মুরগি চাষ করে সুব্রত দ্বিগুণ আর্থিক লাভও পাচ্ছেন। বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গায় ড্রাগন চাষের পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে ফার্ম তৈরী করে করছেন দেশি মুরগির চাষ। একদিকে যেমন মুরগি ও ডিম বিক্রি করে তিনি লাভ পাচ্ছেন, তেমনই ড্রাগন চাষেও সাহায্য করছে এই দেশি মুরগি। সুব্রত প্রায় ৩৫০ এরও বেশি দেশী মুরগির চাষ করেছেন বলে জানান। প্রাকৃতিক উপায়ে সামান্য পরিচর্যায় বড় হয়ে উঠছে দেশি মুরগিগুলো। প্রতিদিন ডিম, মাংসের পাশাপাশি এই দেশি মুরগি ড্রাগন চাষেও সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন পিংলার গোগ্রামের সুব্রত মাহেশ। আর, এর ফলে তিনি দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখছেন বলেও জানান।

thebengalpost.net
মুরগি প্রতিপালন: