তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ অক্টোবর: “আমার বিরুদ্ধে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার প্রিন্ট করতে যে খরচ হয়েছে, তা কোনো দরিদ্র মানুষ কিংবা অসহায় শিশুর হাতে তুলে দিলে ভালো হতো! ওই টাকা অনেক ভালো কাজে লাগানো যেত! কারণ, আমার আসার দিন (রবিবার) আগেই ঘোষণা করেছিলাম। ওরা জানত! তারপরও এই ‘নিখোঁজ’ পোস্টারের কোনো মানে হয়না। বরং এই কঠিন সময়ে রাজনীতি না করে, হাতে হাত মিলিয়ে অসহায় মানুষ বা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।” রবিবার দুপুরে বানভাসী ঘাটাল পরিদর্শনে এসে সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব এভাবেই বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের প্রতি তাঁর বার্তা, “শীতলকে বলব, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঘাটালের এই দুর্দশার কথা যেন তুলে ধরে। ঘাটাল, সবং, পিংলা, ডেবরা-র মানুষদের দুর্ভোগ বা যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার করতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কতটা প্রয়োজন, তা যেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা এসে দেখে যান।”
রবিবার, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালে পৌঁছন সাংসদ দীপক অধিকারী। প্রথমে ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর, দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর পশ্চিম এলাকায় পৌঁছে যান সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। নৌকো চড়ে এলাকা পরিদর্শনের সাথে সাথে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের হাতে। দীপক অধিকারীর সাথে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত সহ ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। দাসপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর সবং এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দীপক অধিকারীর কনভয়।