দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: এবারই প্রথম জোড়া রথযাত্রার আনন্দ উপভোগ করলেন আপামর মেদিনীপুর শহরবাসী। সকালে ইসকনের রথ (Iskcon Rath Yatra) এবং রাতে শতবর্ষ প্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Rath Yatra) রথ। এবারই প্রথম শহর প্রদক্ষিণ করে ইসকনের রথ। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১১-টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের গান্ধী ঘাটে নবনির্মিত মন্দির (Iskcon Temple) থেকে ইসকনের রথযাত্রার শুভ সূচনা হয়। অপরদিক, মেদিনীপুর শহরের শতাব্দী প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার সূচনা হয় বিকেল ৫-টা নাগাদ। এছাড়াও, বরাবরের মতোই বেশকিছু পারিবারিক রথ-ও শহর প্রদক্ষিণ করে এদিন। স্বাভাবিকভাবেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ঘিরে এদিন শহর মেদিনীপুরের আপামর বাসিন্দাদের মধ্যে ছিল তুমুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা।
উল্লেখ্য যে, এই প্রথম মেদিনীপুর শহরে ইসকনের রথযাত্রার সূচনা হয় তুমুল উন্মাদনার মধ্য দিয়ে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শহরের গান্ধী ঘাটে নবনির্মিত মন্দির থেকে ইসকনের রথযাত্রার সূচনা হয়। জগন্নাথ দেবের সেই রথ ( একটি রথেই ছিলেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা) নতুনবাজার, জগন্নাথ মন্দির, স্কুলবাজার, ভীমচক, বটতলাচক কেরানিটোলা, এলআইসি, গান্ধী মোড় হয়ে শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। আগামী সাত দিনের জন্য বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে নির্মিত গুন্ডিচা মন্দিরে অর্থাৎ মাসী বাড়িতে থাকবেন জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব এবং তাঁদের ভগিনী দেবী সুভদ্রা
অন্যদিকে, বিকেল ৫টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যমন্ডিত রথযাত্রার সূচনা হয় জগন্নাথ মন্দির থেকে। শুভ সূচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন মঠ ও মিশনের মহারাজেরা। আমন্ত্রণ পত্রে নাম থাকলেও এদিন উপস্থিত হতে পারেননি জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং বিধায়ক জুন মালিয়া। এদিন, শহরের স্কুলবাজার, ভীমচক, বটতলাচক, কেরানিটোলা, এলআইসি মোড়, পঞ্চুরচক, গোলকুঁয়াচক, ছোট বাজার হয়ে নতুনবাজারে অবস্থিত গুণ্ডিচা মন্দিরে অর্থাৎ মাসি বাড়িতে রাত্রি সাড়ে এগারোটা-বারোটা নাগাদ জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব ও মাতা সুভদ্রার রথ (যথাক্রমে- নন্দী ঘোষ, তালধ্বজ ও দেবদলন) প্রবেশ করবে বলে জানা যায় জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির তরফে। বুধবার অর্থাৎ আগামীকাল থেকে সাত দিন নতুনবাজারে ‘মাসি বাড়ি’ (গুন্ডিচা মন্দির) প্রাঙ্গণে নানা বেশ ( নারায়ণ বেশ, রাজ বেশ, রাখাল রাজা বেশ প্রভৃতি) ধরে ভক্তদের দর্শন দেবেন জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব এবং মাতা সুভদ্রা।