দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ মে: বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিত্য নতুন আবিষ্কার এবং আবিষ্কারকদের উৎসাহিত করতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) এবং ‘চিরন্তন রসায়ন সংস্থা’ (Chirantan Rasayan Sanstha)-র অভিনব আয়োজন! লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড, ইয়ং সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড সহ গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ মেডেলে সম্মানিত করা হলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীদের। আন্তর্জাতিক মানের এই সিম্পোসিয়াম (Symposium) বা আলোচনা চক্রের পোশাকি নাম দেওয়া হয়- ‘রসায়ন ১৬’ বা ‘সায়েন্স বিয়ন্ড বাউন্ডারি রসায়ন ১৬’ (Science Beyond Boundary : Invention Discovery Innovation and Society Rasayan 16)। চলতি সপ্তাহে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.পি.জে আবদুল কালাম সভাগৃহে আন্তর্জাতিক মানের এই আলোচনা চক্র বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র কুমার চক্রবর্তী, অধ্যাপক মধুমঙ্গল পাল, অধ্যাপক অজয় কুমার মিশ্র এবং সর্বোপরি এই আলোচনা চক্রের আহ্বায়ক তথা ‘চিরন্তন রসায়ন সংস্থা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ব্রজগোপাল বাগ। এই অনুষ্ঠানে, ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে বিভূষিত অধ্যাপক সি এন আর রাও; ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত অধ্যাপক গোবর্ধন মেহতা; এবং বিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত ‘এসিএস জার্নাল’-এর প্রাক্তন সম্পাদক প্রফেসার রিচার্ড জি ওয়েসিস-কে সংস্থার তরফে ‘লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড-এ সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীদের ইয়ং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার এবং গবেষকদের গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। মূলত, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তাঁদের আবিষ্কার ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রতি সম্মান জানানো এবং অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন বলে জানান বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তথা ‘চিরন্তন রসায়ন সংস্থা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ব্রজগোপাল বাগ। তিনি জানান, “২০১৬ সাল থেকে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘সীমানা ছাড়িয়ে’ বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব ও অভিনবত্ব তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছি। অতিমারীর সময়েও আমাদের পড়ুয়া ও গবেষকদের জন্য খোলা আকাশের নিচে আস্ত একটা ল্যাবরেটরী তুলে নিয়ে গিয়ে (Laboratory on Wheel) নানান গবেষণামূলক কাজকর্মের মধ্য দিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছি- বিজ্ঞান কখনও, কোথাও থেমে থাকেনা! শুধু রসায়ন নয়, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রতিনিয়ত যে উদ্ভাবন ও আবিষ্কার হয়ে চলেছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।”