দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ মার্চ: এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা জমা দিলেন সাদা খাতা! তবে, কারণটা অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েছেন সাদা খাতা জমা দিতে! পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়েই ধরনায় বসেন পড়ুয়ারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী’র কাছে নিজেদের ‘অভিযোগ’ তুলে ধরেন পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবারের (২১ মার্চ) এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।

thebengalpost.net
জেলাশাসকের সঙ্গে কথা :

প্রসঙ্গত, আজ (মঙ্গলবার, ২১ মার্চ) ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের পরিবেশ বিদ্যার পরীক্ষা। জানা গেছে, এই পরীক্ষায় দাঁতন সংলগ্ন নেকুড়শেণি হাই স্কুলের সাঁওতালি মাধ্যমের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেন্টার পড়েছিল দাঁতনের মনোহরপুর রাজা রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে। সাঁওতালি মাধ্যমের ১৬ জন পরীক্ষার্থী হাতে প্রশ্ন নিয়ে দেখেন, প্রশ্ন হয়েছে বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায়। অলচিকি লিপিতে অর্থাৎ সাঁওতালি মাধ্যমে কোন প্রশ্ন হয়নি! বাধ্য হয়েই তাঁদের সাদা খাতা জমা দিতে হয়। ‌এরপর, ওই ১৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে সাদা খাতা জমা দিয়ে এসে নারায়ণগড় বিডিও অফিসে ধর্নায় বসেন। আধিকারিকদের কাছে তুলে ধরেন পুরো বিষয়টি। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বেলদাতে একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া। পড়ুয়ারা জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছেও এই ঘটনার কথা তুলে ধরেন। পরীক্ষার্থী সহ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসন তথা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে। তাঁদের আশ্বাস দেন জেলাশাসক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে তুলে ধরবেন বলেও আশ্বস্ত করেন পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্বরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঘটনা ঘিরে সমাজ মাধ্যমেও বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়!