তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মার্চ: আলুর দাম নেই। এবার চরম ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এক আলু চাষীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য! গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের বাড়িতে ওই কৃষক আত্মহত্যা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মৃতের স্ত্রী ও এলাকার লোকজনদের দাবি, ঋণের দায়ে জর্জরিত ছিলেন তাপস রুইদাস নামে বছর ৩৫ এর ওই কৃষক। আলু চাষ করেও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। আর, তা থেকেই পারিবারিক অশান্তি বাড়তে থাকে। সেই অশান্তির জেরেই মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পশ্চিম মেদনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ভগবানবাটি গ্রামের বাসিন্দা তাপস।
জানা যায়, চন্দ্রকোনার ভগবানবাটি গ্রামের বাসিন্দা তাপস রুইদাস মঙ্গলবার অর্থাৎ হোলির দিন বিকেল নাগাদ নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃতের স্ত্রী রুম্পা রুইদাস ও প্রতিবেশী মানুষজনদের দাবি, আবাস যোজনায় মেলেনি বাড়ি। স্ত্রী, তিন সন্তান ও মা-কে নিয়ে ছোটো মাটির বাড়িতে থাকতে হতো। তার উপর আলু চাষ করতে গিয়ে ঋণে জর্জরিত হয়েছিলেন। ঋণের বোঝা বেশি হওয়ায়, তা পরিশোধও করতে পারছিল না তাপস। সেই কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই পরিস্থিতিতে হোলির দিন পাড়ার ঠেকে বন্ধুদের সাথে আলুর দাম ও ফলন নিয়ে তর্কবিতর্ক হচ্ছিল তাপসের! এমনটাও জানা যায়। পাড়ার আড্ডা সেরে বাড়ি ফিরে স্ত্রী’র সাথেও ঝগড়া হয় তাপসের।।স্বামী-স্ত্রী’র ঝগড়ার মাঝেই স্ত্রী রুম্পা রুইদাস বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ায় চলে যায়। তার কিছু পরেই বাড়িতে তাপসের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা! দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, বাড়ির একমাত্র রোজগেরে তাপসের মৃত্যুতে চরম সঙ্কটে পড়ল ওই পরিবার! ঘটনা ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।