মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ ফেব্রুয়ারি:’কন্যাশ্রী কাপ’ এর সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট (Golden Boot)। এবার, বাংলা দলে ডাক পড়লো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল অধ্যুষিত শালবনীর ‘গর্ব’ সুজাতা মাহাতোর। মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটে অনুষ্ঠিত ‘খেলো ইন্ডিয়া’ টুর্নামেন্টে বাংলা দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে বুধবার দুপুরেই শালবনী থেকে উড়ে গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত (২৮ জানুয়ারি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে) আইএফএ’র মহিলা ফুটবল লীগ (IFA Women’s Football League) কন্যাশ্রী কাপে সুরুচি সংঘের হয়ে টুর্নামেন্টের সর্বাধিক ২৩টি গোল করেছিলেন শালবনী জাগরণ ফুটবল অ্যাকাডেমির বছর ২০’র মহিলা ফুটবলার সুজাতা মাহাতো। জিতে নিয়েছিলেন ‘গোল্ডেন বুট’। তারপরই, শালবনীর মীরগা গ্রামের সামান্য কৃষক পরিবারের বড় মেয়ে সুজাতা’র ডাক পড়লো ‘খেলো ইন্ডিয়া’ (Khelo India)-তে বাংলা দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। স্বভাবতই খুশির হাওয়া শালবনী তথা মেদিনীপুর জুড়ে।
এ প্রসঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় শালবনী ব্লক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, “বাংলা দলের মহিলা টিম আগেই রওনা দিয়েছিল। যে টিমে শালবনী জাগরণের অন্য ফুটবলার মৌসুমী মুর্মু ইতিমধ্যেই জায়গা পেয়েছেন। তবে, কন্যাশ্রী কাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য সুজাতা কে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয়। কোচ রাজদীপ নন্দী ফোন করেছিলেন আজ সকালেই। এরপরই, আমরা খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেনে তুলে দিই সুজাতা-কে। আশা করব, প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে সুজাতা নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবে।” উল্লেখ্য যে, সুজাতা’র বাবা দিল্লেশ্বর মাহাতো পেশায় সামান্য একজন কৃষক। বিভিন্ন সময়ে কাঠের মিস্ত্রী হিসেবেও কাজ করে থাকেন। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে সুজাতা। লড়াইটা তাই সহজ ছিলোনা! তবে, জঙ্গলমহল কাপে শালবনী জাগরণ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সুজাতা গত বছর সিভিক পুলিশের চাকরি পান। তার সঙ্গেই চলে ফুটবল পায়ে এগিয়ে যাওয়া! স্বপ্ন পূরণের লড়াই। অবশেষে, সাফল্য এবার সুজাতাকে ছুঁয়ে দেখতে চাইছে যেন!