দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: জানুয়ারির রেকর্ড ভাঙা শীতে জুবুথুবু সারা বাংলা! এই প্রথম প্রায় গোটা রাজ্যই ১০ ডিগ্রির নীচে। তিলোত্তমা কলকাতাতেও শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির সামান্য বেশি। আগামী ২-৩ দিনে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। চলবে শৈত্যপ্রবাহও। এদিকে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহল তো ঠান্ডায় রীতিমতো ঠক ঠক করে কাঁপছে! পশ্চিমাঞ্চলের বীরভূম, বর্ধমানেও শীতের বিষাক্ত কামড়। সবথেকে ‘কঠিন’ অবস্থা পুরুলিয়াতে। সেখানে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কম যাচ্ছেনা বাঁকুড়াও! সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর ৯ ডিগ্রির আশেপাশে! সবমিলিয়ে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বহুদিন শীতের এমন দাপট দেখেননি দক্ষিণবঙ্গবাসী। বলছেন আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরাই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকায় এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে প্রায় দেড় ডিগ্রি! বৃহস্পতিবার যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪৮ডিগ্রি, শুক্রবার সেখানে ৯.১১ ডিগ্রি। গড় তাপমাত্রাও কমছে প্রতিদিন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মেদিনীপুরে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭.২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, পৌষের ঠান্ডাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। এই সুযোগে, ‘বরফ পড়া’র ছবি এডিট করে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল করছেন যুবক-যুবতীরা। আবহাওয়া দপ্তর যতোই বলুক, মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি; মেরেকেটে তা হয়তো ৭-৮ এ নামবে। নেটদুনিয়া তো ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরকে লন্ডন বানিয়ে ছেড়েছে! মেদিনীপুর স্টেশন সহ বিভিন্ন এলাকায় ‘বরফ পড়া’র ছবি এডিট করে তা পোস্ট করা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। আর, লেপের তলায় শুয়ে শুয়ে নিমেষে তা ভাইরাল (Viral) করছেন নেটাগরিকরা! এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরও ৭২ ঘন্টা শৈত্যপ্রবাহ সহ কনকনে শীত অনুভব করবেন বঙ্গবাসী। তারপর, তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।