দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৭ অক্টোবর: আশার আলো দেখাননি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল! তাতে কি! ‘জোনাকি’র মতো মোবাইলের আলো জ্বেলে রাজপথে বসে পিট শিগারের ‘We shall overcome’ গাইছেন হাজার হাজার যোগ্য ও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, সাদা খাতা জমা দেওয়া কয়েক হাজার অযোগ্যদের কাছে তাঁদের হকের চাকরি বিক্রি করে তাঁদের ‘নট ইনক্লুডেড’ (Not Included) করে দিয়েছে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অধীনস্থ বোর্ড। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তিনি নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, “টেট পাস প্রশিক্ষিত সকলকেই (প্রায় ২০ হাজার) ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে।” কিন্তু, এখনও প্রায় ১০-১১ হাজার (পর্ষদের নতুন হিসেবে ১৬,১০১) যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় বসে আছেন। তাই, সোমবার তাঁরা একতা মঞ্চের নেতৃত্বে ‘ডু আর ডাই’ আন্দোলনে নেমেছেন। রাত্রি ১০-১১ টা’র সময়ও অচিন্ত্য, পারমিতা-রা পর্ষদ অফিস আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনের সামনে (সল্টলেক, করুনাময়ী) অবস্থানে বসে আছেন!
সন্ধ্যা নাগাদ তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছেন, “২০১৪ ও ২০১৭ টেট পাসদের মধ্য থেকে ১১ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। তাতে সকলেই অংশগ্রহণ করুন!” কিন্তু, ২০১৭ টেট পাস প্রায় ১০ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কোনোভাবেই প্রতিযোগিতায় যেতে রাজি নন ২০১৪ টেট পাস নট ইনক্লুডেডরা। একতা মঞ্চের দাবি, “এখনও ১৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ অসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও নতুন করে বেআইনি নিয়োগের ফাঁদ পেতেছেন নতুন পর্ষদ সভাপতি।” বরং পড়ে থাকা প্রায় ৪ হাজার শূন্য পদ এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাদ দিয়ে সমস্ত নট ইনক্লুডেডদের অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক। আর, সেই দাবিতেই ডু আর ডাই আন্দোলনে নেমেছেন নট ইনক্লুডেড হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী।