দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর: সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা শেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোপীনাথপুর (খিরীন্দা মৌজা) এলাকায় অবস্থিত অভিজাত বি.সি.এম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে বেরোলেন ইডি আধিকারিকরা। বুধবার বিকেল ৩ টা ২০ নাগাদ স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন চার সদস্যের তদন্তকারী দল। রাত্রি ৮ টা ৪৭ নাগাদ তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ সেরে বেরোন! তবে, মুখ খোলেননি আধিকারিকরা। কিছু জানানো হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও। তবে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মামা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রী রীনা অধিকারী ছাড়াও স্কুলের অধ্যক্ষা দেবযানী মিত্র-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্কুলের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়েই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খড়্গপুর গ্রামীণের শিল্পতালুকে অবস্থান করছেন, তার মধ্যেই এই তল্লাশি অভিযানে চক্রান্ত দেখছে জেলা তৃণমূল! জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সফর কালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের অতি-সক্রিয়তা! রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বি.সি.এম ইন্টারন্যাশনাল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে তৈরি হয়েছে। স্কুলের মালিক নাকি তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। যদিও, তিনি বিদেশে থাকেন এবং স্কুল দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাঁর মামা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী। উল্লেখ্য যে, গত ২২ জুলাই (পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জির গ্রেপ্তারির দিনে) এই কৃষ্ণপ্রসাদের খিরিন্দার বাড়িতে কেন্দ্রীয় আয়কর দপ্তরের ৫ জনের প্রতিনিধিদল হানা দিয়েছিল। সকাল ৮ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। টানা জিজ্ঞাসাবাদে অসুস্থ-ও হয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণপ্রসাদ! এদিন (বুধবার) তাই সরাসরি স্কুলেই হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করতেই যে পিংলার এই স্কুলে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা তা বলাই বাহুল্য! তবে, কি কি তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করতে পেরেছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয় সংবাদমাধ্যমের কাছে।