দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৯ আগস্ট: “দশ বছরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ জনকে শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি দিয়েছি আমরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সব মিলিয়ে। আরও, ৮৯ হাজার ৩৫-টি শূন্য পদ আছে। এতোদিন হয়ে যেত। দু’এক জনের জন্য আটকে আছে! আমি ব্রাত্যকে বলছি, আইন কানুন সব দেখে নিয়ে নিয়োগ করে দিতে। চাকরি যেন আটকে না থাকে!” সোমবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, পরক্ষণেই সবমিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ জনকে চাকরি দেওয়ার যে তথ্য দিয়েছেন, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে!

thebengalpost.net
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ছাত্রদের সমাগম:

এদিকে, এই ৮৯ হাজার শূন্যপদ যে শিক্ষা দপ্তরে, তা অনুমান করা যাচ্ছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী সেজন্যই নিয়োগের দায়িত্ব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু’কে। তবে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা’য় কোথায় কত শূন্য পদ, তা অবশ্য পরিস্কার করেননি মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তাঁর মতে, ৮৯ হাজার ৩৫-টি শূন্যপদের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে! মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার চাকরিপ্রার্থীরা আশার আলো দেখলেও, তাঁরা এও বলছেন যে, “অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়! মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এক, আর হয় আরেক!” সাম্প্রতিক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা তুলে ধরে ঐক্য মঞ্চের তরফে অনেকেই বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০; তারপর ধাপে ধাপে বাকি সাড়ে তিন হাজার জনকেও নিয়ে নেওয়া হবে। বাস্তবে ১০-১২ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর, আমরা ৭-৮ হাজার চাকরিপ্রার্থী গত দেড় বছর ধরে আন্দোলন আর মামলা করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি!”