দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৮ আগস্ট: ফের একবার সিবিআই (CBI)-কে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ প্রাইমারি টেট (Primary TET 2014) থেকে দু’দফায় নিয়োগ হওয়া (২০১৬ ও ২০২০) প্রায় ৫৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ এবং বিশেষ কমিটি গড়ে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরীতে (CFSL) পাঠিয়ে, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার এই নির্দেশ জারি করার সময় তিনি সিবিআই-কে মনে করিয়ে দেন, “গত ২০ জুন (২০২২) আমি যে নির্দেশ দিয়েছিলাম, সেই অনুযায়ী অবিলম্বে CFSL এ সমস্ত তথ্য পাঠিয়ে, তা যাচাই করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে।” সেক্ষেত্রে, চাকরি পাওয়া প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষক (২০১৬ বা ২০১৭ তে প্রায় ৪৩ হাজার এবং ২০২০ বা ২০২১ এ প্রায় ১২ হাজার)-এর ওএমআর (OMR) সিটও স্ক্যান করে দেখে নেওয়া হতে পারে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। যদিও, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর অক্ষত অবস্থায় আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীদের একাংশ।

thebengalpost.net
omr

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১০ আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ, অনুব্রত মণ্ডলের ৬ আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ সহ রাজ্যজুড়ে কয়েকশো নেতার ঘনিষ্ঠ এবং টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও গত ২০ জুন তিনি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে কমিটি গড়ে পর্ষদ অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার কথা জানিয়েছে, সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্য। যদিও, সিবিআই তা এখনও করে উঠতে পারেনি। তাই, বুধবার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিমদের করা মামলার শুনানিতে ফের একবার সিবিআই-কে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। উল্লেখ্য যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের বংশীলাল মন্ডল, দেবগোপাল মন্ডল, অরূপ ভৌমিক, গায়ত্রী মন্ডল, পূর্ণ মণ্ডল, ভীষ্মদেব মন্ডল, অমলেশ রায়, সমব্রত পন্ডিত সহ ১০ জনকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে, আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার মধ্যে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জন ঘনিষ্ঠ বা আত্মীয়কে তাঁর এজলাসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ-ও দিয়েছেন বিচারপতি।