দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৪ আগস্ট: এসএসসি (School Service Commission) দুর্নীতি তদন্তের জাল ক্রমেই গুটিয়ে আনছে ইডি (Enforcement Directorate) ও সিবিআই (CBI/ Central Bureau of Investigation)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পর তাঁর দুই সাগরেদ শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক কুমার সাহা-কে গ্রেফতার করে ঘন্টার পর ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আপাততো ১৭ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের হেফাজতে পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর, এর মধ্যেই এই দুর্নীতিচক্রের অন্যতম ‘মাথা’ নিয়োগ সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রসাদ সিনহা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি সমস্ত কাজ করেছেন। র্যাঙ্ক বদল থেকে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের দিয়ে ফাঁকা ওএমআর (Blank OMR) পূরণ করানো, সবকিছুই করেছেন টাকার বিনিময়ে! সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ইএম বাইপাসের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের দিয়ে ফাঁকা ওএমআর পূরণ করানো হতো। তারপর, সেই ওএমআর পাঠিয়ে দেওয়া হতো স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দপ্তর আচার্য সদনে। সেখানে ছিলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারি বা সচিব (একসময়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন) অশোক কুমার সাহা। তাঁর দায়িত্ব ছিল, বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে দেওয়ার!
এভাবেই, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি-ডি’তে দুর্নীতি করে হাজার হাজার প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। এবার, সিবিআই অরিজিনাল সমস্ত ওএমআর খুঁজে বের করে, তা পুনরায় স্ক্যান করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করে তা আদালতে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যেই বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সিবিআই এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার সিবিআই-এর একটানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে জানিয়েছেন, সমস্ত কাজটাই হয়েছে শান্তি প্রসাদ সিনহা’র নির্দেশে। তিনি শুধু আদেশ পালন করে গেছেন! তবে, তাঁরা সকলেই যে একপ্রকার চাপে পড়েই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আদেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন!