তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: সাইকেল চালিয়ে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সঞ্জনা জানা। ব্যাগে বই-খাতা ছাড়াও ছিল টিউশন (কোচিং সেন্টারের)-এর বেতন স্বরূপ প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। কোনোভাবে স্থানীয় দুষ্কৃতী তা বুঝতে পেরেছিল, তাই স্কুটিতে করে এসে সঞ্জনা’র সাইকেলের সামনের খাঁচা (বাস্কেট) থেকে ছোঁ পেরে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। টাকা-পয়সা ছাড়াও ব্যাগে ছিল বই, খাতা, গুরুত্বপূর্ণ নোটস প্রভৃতি। টাকা-পয়সার থেকেও সঞ্জনা চিন্তিত এই বই-খাতা-নোটস নিয়েই। কারণ, এসবের যে বিকল্প হয়না! তাই, বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুরে দাসপুর থানার ছাত্রী সঞ্জনা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আবেদন, “টাকা-পয়সা না হলেও হবে, আমার বই-খাতা সহ ব্যাগ-টি ফিরিয়ে দিন।” সঞ্জনা’র অভিযোগ, স্কুটিতে করে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক এসে তাঁর সাইকেলের সামনের খাঁচায় থাকা বইয়ের ব্যগ তুলে নিয়ে নিমেষে পালিয়ে যায়। ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দাসপুর থানার যদুপুর গ্রামে। এরপর, টাকা নয়, পড়ার বই ফিরে পেতে দাসপুর থানার দ্বারস্থ হন সঞ্জনা। আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, দাসপুর থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা অক্ষয় জানার মেয়ে সঞ্জনা রাজনগর ইউনিয়ন হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। বুধবার সকালে রাজনগরে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় হঠাৎই পিছন থেকে একটি স্কুটিতে করে এসে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক তাঁর সাইকেলের সামনে রাখা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। সঞ্জনা জানান, ব্যাগে বই নোটসের পাশাপাশি টিউশনের স্যারেদের দেওয়ার জন্য মোট সাড়ে চার হাজার টাকা ছিল। তবে, এই ছিনতাইয়ের কিছুক্ষণ আগেই মোবাইলে কথা বলে মোবাইলটি সঞ্জনা আলাদাভাবে ব্যাগের বাইরে রাখায় মোবাইলটি ছিনতাইকারী ছিনতাই করতে পারেনি। সঞ্জনা ও তাঁর পরিবারের তরফে ইতিমধ্যে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সঞ্জনা’র দাবি, মাসের প্রথমের দিক ছিল, আগে থেকেই ওই দুষ্কৃতী হয়তো ফলো করে জানতে পেয়েছিল ব্যাগে টাকা আছে। তাই এই ছিনতাই! তবে, তাঁর আর্জি, “টাকা না হলেও হবে; পড়াই বই, খাতা ও নোটসগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।” এদিকে, এই ঘটনায় স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ সঞ্জনা’র মা সুপর্ণা দেবীর। একইসঙ্গে, সাত সকালে, দিনের আলোয় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় চিন্তিত এলাকাবাসীও। পুলিশের তরফে দ্রুত দুষ্কৃতীকে ধরার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।