দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ জুলাই: “শুধু এই এলাকার কেন, বিভিন্ন জায়গার লোক এসে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। আর আমরা জিনিসপত্র আমাদের প্যাকেটে (পলি ব্যাগে ভরে) ভরেই দিই। এটাই সব দোকানের নিয়ম। সেই প্যাকেট কিভাবে কলকাতায় গেল, কে কি পাঠালো, তা আমরা কিছুই জানিনা!” শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং বাজারে অবস্থিত ‘সাউ বস্ত্রালয়’ এর মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাউ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৭ জুলাই) রাত্রি ১০ টা নাগাদ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটে নোটের পাহাড়ের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর একটি প্যাকেট বা পলি ব্যাগ দেখা যায় বিভিন্ন চ্যানেল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে। যে প্যাকেটে বা পলিব্যাগে করে টাকা গিয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। প্যাকেটের উপরে লেখা ছিল, ‘সাউ বস্ত্রালয়’, সবং বাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর। এরপরই, জেলা জুড়ে শুরু হয়ে যায় নানা জল্পনা। ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয় বিভিন্ন মহল।

thebengalpost.net
সেই প্যাকেট :

এরপর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ‘সাউ বস্ত্রালয়’ এর মালিক থেকে শুরু করে দোকানের কর্মীদের ফোনে হাজার হাজার কল, মেসেজের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে। হাজির হয় সংবাদমাধ্যম-ও। তব, বৃহস্পতিবার দোকানের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাউ ছিলেন না! প্রতি সপ্তাহের মতোই গিয়েছিলেন কলকাতায়, দোকানের মাল করতে। তাঁকে না পেয়ে দোকানের কর্মীদের-ই জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁরা যা জানিয়েছিলেন দোকানের মালিক-ও সেই একই কথা জানিয়েছেন, “কে কোথা থেকে কিভাবে কি পাঠিয়েছেন, আমরা জানব কি করে? তবে, আমরা যে কিছু পাঠাইনি তা নিশ্চিত।” তিনি এও জানিয়েছেন, “সবার সেই একই জিজ্ঞাসা। হাজার হাজার ফোন, মেসেজের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।” তবে, কিছুটা দুঃশ্চিন্তা আছে বলেও জানান তিনি। যদি আবার তদন্ত করতে ইডি আধিকারিকরা সবংয়ে পৌঁছে যান! জানা যায়, নারায়ণ বাবু’র একমাত্র ছেলেও বাবার ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত। তবে, বিভিন্ন মহল থেকে জল্পনা তৈরি হয়েছে, দোকানের পক্ষ থেকে না পাঠানো হলেও, সবং কিংবা সংলগ্ন ডেবরা, পিংলা, বালিচক প্রভৃতি এলাকা থেকেই ওই পলিব্যাগে করেই ‘ঘুষের টাকা’ গিয়েছিল। কারণ, মফস্বলের এই সমস্ত দোকানে যে খুব বাইরে থেকে এসে কেউ কিছু কিনতে যাবেন না, তা বলাই বাহুল্য!

thebengalpost.net
দোকানের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাউ: