দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুলাই: শুধুই কি শিক্ষিত বেকার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্য জুড়ে জালিয়াতি চক্র সক্রিয় সর্বত্র। বাদ যাচ্ছেন না ‘অন্নদাতা’ কৃষকরাও! শনিবার এমনই এক চক্রের সন্ধান পেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট। জাল বন্ড তৈরি করে ৭৫০ বস্তা অর্থাৎ ৩৭৫ কুইন্টাল আলু তুলতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও হল এক প্রতারক। শনিবার তাকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর আদালতে পাঠায় শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট। এদিকে, আদালতে দাঁড়িয়েই সলীল মান্না নামে ধৃত ওই ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত একাধিক জনের নাম নিয়েছে। পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ তাকে চার দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সলীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রতারকের সন্ধান পেতে চাইছে।
উল্লেখ্য যে, শনিবার সকালে শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা সংলগ্ন জয়পুর এলাকায় অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজে ৩-টি ‘নকল’ (বা, ভুয়ো) আলুর বন্ড নিয়ে সাত সকালেই পৌঁছে যায় গোয়ালতোড়ের কদমডিহার বাসিন্দা, বছর ৪৫-এর সলীল মান্না। ৩-টি বন্ড দেখিয়ে ২৫০ বস্তা করে, ৭৫০ বস্তা আলু (৩৭৫ কুইন্টাল) দাবি করে সে। তবে, কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজারের ওই ‘জাল’ বা ‘ভুয়ো’ আলু বন্ড দেখেই সন্দেহ হয়। নানা অছিলায় তাকে (সলীলকে) বসিয়ে রেখে, পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করেন ম্যানেজার। দ্রুত পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে ওই প্রতারককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়ে সলীল মান্না নামে ওই প্রতারক। এরপরই, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে, ম্যানেজারের তৎপরতায় ‘সর্বস্বান্ত’ হওয়া থেকে রক্ষা পান তরুণ মাহাত সহ তিন কৃষক। কারণ, যে ৩-টি বন্ড জাল বা নকল করা হয়েছিল, সেগুলির আসল মালিক তরুণ-রাই ছিলেন। তাঁদের অজান্তেই তাঁদের নামে থাকা আলু, জালিয়াতরা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পেতেছিল! পুলিশ সলীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাবে বলে জানা গেছে।