দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মে:আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক বাদেই বাঙালির অন্যতম পার্বণ ‘জামাইষষ্ঠী’। বিশেষ এই দিনে জামাইদের মঙ্গল কামনায় শাশুড়িরা যেমন ফোঁটা দেন, ঠিক তেমনই বিশেষ ভাবে আদর-আপ্যায়ণ করা হয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির তরফে। মূলত, শ্বশুর-শাশুড়ি’র কাছে এই দিনে জামাইরা অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই খাতির-যত্ন পান! জামাইরাও অবশ্য বিনিময়ে যথাসম্ভব শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন। সবমিলিয়ে বেশ একটা মধুর সম্পর্কের রসায়নই ফুটে ওঠে! তবে, জামাইষষ্ঠী’র কদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকায় শ্বশুর-জামাইয়ের মধ্যে যা ঘটলো, তাতে ‘মাধুর্য’ তো দূরের কথা, টক-ঝালের ছিঁটেফোঁটাও বিন্দুমাত্র লক্ষ্য করা যায় নি! পুরোটাই একেবারে মারমার-কাটকাট ব্যাপার। জামাইয়ের বাড়িতে এসে বছর ৩৫ এর ‘গুণধর’ জামাইয়ের হাতে প্রহৃত হয়ে রীতিমতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হল, বছর ৫৫ ‘র শ্বশুর মশাই-কে। তারপর, শ্বশুরমশাই-এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, বেলদা থানার কমিয়াচক গ্রামের বাসিন্দা ওই ‘গুণধর’ জামাই-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য শ্রীঘরে পাঠায়।
ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা কমিয়াচক এলাকার। জানা গেছে, কয়েকবছর আগে কমিয়াচক গ্রামের মিলন মাইতি’র সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেন পাতলী গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চানন অধিকারী। সম্প্রতি, পারিবারিক কিছু বিষয়ের কারণে, জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরমশাই-এর বিবাদ চরমে ওঠে। তবে, সেই সমস্ত বিষয় উপেক্ষা করেই শুক্রবার জামাইয়ের বাড়িতে এসেছিলেন শ্বশুর পঞ্চানন বাবু। কিন্তু, ফের অশান্তির কারণে শ্বশুরকে মারধর করে জামাই মিলন মাইতি! তার জেরেই, আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় শ্বশুর পঞ্চানন অধিকারীকে। তারপর-ই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জামাই মিলন মাইতি-কে কমিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করে বেলদা থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে দাঁতন আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনা ঘিরে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়।