দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে:”কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি!” বাঙালির প্রাণের ঠাকুর। স্মরণে, মননে চিরন্তন অধিষ্ঠান মানব হৃদয়ে। পঁচিশে বৈশাখ তাই বাঙালির ‘কুহেলিকা’ উদঘাটিত করে ‘রবির আলো’য় ভেসে যাওয়ার দিন। ১৬২ তম জন্মদিনটি তাই সোমবার (২৫ বৈশাখ/৯ মে) পড়লেও, বাঙালির কাছে ‘রবি-বার’! আর, এই ‘রবি’ দিনে, প্রাণের ঠাকুর ‘রবি ঠাকুর’-কে অনন্য সৃষ্টি-কর্মের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই শিল্পী। ১৫০০ স্কোয়ার ফিটের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করলেন মেদিনীপুরের পবিত্র ভূমিতে। ‘বিশ্বকবি’র জন্মদিনে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি অঙ্কন করে, কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের দুই শিল্পী, যথাক্রমে- সায়নেন্দ্রনাথ বেরা ও জয়ন্ত পাখিরা। তাঁদের এই অনন্য সৃষ্টি প্রশাসনিকভাবে সংরক্ষণ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আজ, সোমবার (৯ মে) ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া স্কুল মাঠে, গত শনিবার থেকে দিন রাত পরিশ্রম করে, দাসপুর থানার পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা ও শিল্পী সায়নেন্দ্রনাথ বেরা এবং বাসুদেবপুরের বাসিন্দা ও শিল্পী জয়ন্ত পাখিরা ১১৪-টি থার্মকলের উপর বিশ্বের সর্ববৃহৎ রবীন্দ্র-চিত্র প্রস্ফুটিত করেছেন, ১৫০০ স্কোয়ার ফুটের জায়গার উপর। এই দাবি শুধু দুই শিল্পীরই নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্র শিল্পী প্রসেনজিৎ মূলারও। সোমবার স্থানীয় পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ ক্লাবের উদ্যোগে, ১৬২ তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে, ক্লাবের সহযোগিতায় ও শিল্পী প্রসেনজিৎ মূলার উৎসাহে সায়নেন্দ্র ও জয়ন্ত এই অভিনব শিল্প সৃষ্টি করে, সারা বাংলার পাশাপাশি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। খবর পেয়েই তাই রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস। তিনি জানান, “সত্যিই অভূতপূর্ব সৃষ্টি। ইন্টারনেট ঘেঁটেও যা দেখা যাচ্ছে, এর চেয়ে বড় ছবি নেই।” খবর পেয়ে মাঠে হাজির হয়েছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইঞাও। প্রশাসনিকভাবে এই সৃষ্টিকর্মের সংরক্ষণ করা যায় কিনা, সেই চেষ্টাও চলছে। শিল্পী সায়নেন্দ্র জানান, এখনও অবধি হাজার স্কোয়ার ফুটের পেন্টিং বিশ্বের সবচাইতে বড় পেন্টিং। সেই রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যেই তাঁদের এই ১৫০০ স্কোয়ার ফুটের রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি।