তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ এপ্রিল: বেহাল রাস্তায় নিত্য দিন দুর্ঘটনা লেগে আছে। বারবার, দাবি জানিয়েও রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। তাই, রাস্তার হাল ফেরানোর দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ টোটো চালক সহ সাধারণ মানুষের। সোমবার সকাল থেকেই পথ অবরোধ এবং আন্দোলন করা হয়। টোটো চালকদের বক্তব্য, রাস্তার হাল ফিরলে দুর্ঘটনা কমবে। যাত্রীরাও নিশ্চিন্তে যাত্রা করতে পারবেন টোটোতে। ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার নন্দনপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বারাসাত এলাকার। প্রসঙ্গত, দাসপুর ১ নং ব্লকের ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কের কলোরা থেকে তেমুয়ানি ব্রিজ হয়ে পোস্তঙ্কা পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার সড়কটির হাল দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, গত দু’ই বছর ধরে বড় বড় গর্তে ভরা এই গ্রামীন সড়কে বিভিন্ন সময় নানান ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। দাসপুর-১ নং ব্লক প্রশাসনের চরম উদাসীনতা রাস্তা সারানো নিয়ে। অথচ, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন এক প্রান্তে পাঁশকুড়া, ঘাটাল অন্য প্রান্তে ডেবরা, মলিঘাটী, পাটনা ইত্যাদি পথে বাস, টোটো, ট্রেকার সহ একাধিক যানবাহন যাতায়াত করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি এখন যাতায়াতের অযোগ্য বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
প্রসঙ্গত, এই রাস্তার দেখভালের দায়িত্বে জেলা পরিষদ। কৃষিপ্রধান দাসপুর-১ ব্লকের এই রাস্তাটির উপর নির্ভরশীল চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ-টি গ্রামের কৃষকরা। কৃষকরা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত টালিভাটা, কলোরা ও সোনামুই হাটে উৎপাদিত ফসল নিয়ে যায়। অন্যদিকে, রাস্তার বেহাল অবস্থার জেরেই যাতায়াত ও যাত্রী কমেছে টোটোতে। ফলে, লক্ষ টাকা দামে টোটো কিনে চরম ক্ষতির মুখে ৫০টিরও বেশি টোটো! তাই, আজ, সোমবার সেই রাস্তার হাল ফেরাতেই দাসপুরের বারাসাত মোড়ে টোটো চালকদের পথ অবরোধ এবং আন্দোলন সংগঠিত হল। টোটো চালকরা বলেন, দীর্ঘ এই এগারো কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এক বছর আগে এগারো কিলোমিটারের মধ্যে সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছিল। সেই রাস্তাটির অবস্থাও খুব খারাপ। আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুততার সাথে এই সড়কটির দিকে নজর দিক প্রশাসন।” অন্যদিকে, দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক জানান, “সত্যিই এই চার কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেই জন্য নতুনভাবে রাস্তাটি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার পাস করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”