thebengalpost.net
কলকাতা হাইকোর্ট (নিজস্ব চিত্র) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল:নজিরবিহীন দুর্নীতি করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়। এই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে, তাঁর নির্দেশে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এসএসসি (School Service Commission)’র তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা-কে। এবার পালা, আরও চার দুর্নীতিগ্রস্ত এসএসসি কর্তার। সুকান্ত আচার্য (তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব), প্রবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, (তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ওএসডি), অলোককুমার সরকার (শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর) এবং তাপস পাঁজা (শিক্ষা দফতরের আইনি অফিসার) নামে এই চার আধিকারিক-কেও জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, তা এড়াতে সোমবার এই চার কর্তা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন! দিনের শেষে কোনো লাভ হয়নি। তাঁদেরকে নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারণ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের কোনও ডিভিশন বেঞ্চেই ওই মামলার শুনানি হয়নি! মামলা শুনতে অস্বীকার করেছে তিন-তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ।

thebengalpost.net
কলকাতা হাইকোর্ট (নিজস্ব চিত্র) :

প্রসঙ্গত, দিনভর ছোটাছুটি করেও সোমবার এই চার এসএসসি কর্তা কোনও ‘রক্ষাকবচ’ আদায় করতে পারেননি! বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রথমেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এসএসসি-র মামলাগুলি শুনতে অস্বীকার করেন। তারপর, তাঁরা সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি’র শরনাপন্ন হন। তিনি মামলা পাঠান, টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু, দুপুর ২ টো নাগাদ ওই বেঞ্চ জানায়, পূর্ব নির্ধারিত অন্য একটি মামলায় তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন। এরপর, দুপুর ৩ টে নাগাদ মামলা যায় সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই বেঞ্চ-ও ব্যস্ততা দেখিয়ে মামলা এড়িয়ে যায়। অগত্যা মামলা ফিরে আসে, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চেই। তিনি জানান, “এতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। একজন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যখন সেটা পালন করা হোক আপাতত। ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা আবেদন জানিয়েছেন, নিশ্চয়ই তা শোনা হবে।” শেষ অবধি, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ উচ্চ আদালত জানায়, মঙ্গলবার মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাষ পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে উঠতে পারে। ফলে তা হবে এই মামলার পঞ্চম ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে অবশ্য সোমবার সন্ধ্যায় বাধ্য হয়েই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয় ওই চার এস এস সি- কর্তাকে। যাঁদের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ!