দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৮ মার্চ: বগটুই কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বিধানসভা। তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা জড়িয়ে পড়লেন হাতাহাতিতে। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, “শুভেন্দু মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে!” তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKM হাসপাতালে। যদিও, পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী’র বক্তব্য, “কলকাতা পুলিসের কিছু লোককে সিভিল ড্রেসে বিধানসভার ভিতরে ঢোকানো হয়েছিল। বিজেপি বিধায়কদের উপর চড়াও হয় তারা। মারের চোটে মনোজ টিগ্গার নাক ফেটে গিয়েছে। চন্দনা বাউড়িকে চুলের মুঠি ধরে টানা হয়েছে। বিধানসভার ভিতরেও বিজেপি বিধায়করা নিরাপদ নয়।”

thebengalpost.net
বিধানসভায় ধুন্ধুমার :

সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি’র ধুন্ধুমার কাণ্ডের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সহ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো এবং মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে শাসক দল। তাঁদের সাসপেনশনের দাবি করেন, ফিরহাদ, উদয়ন গুহ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বলেন, “ওরা (বিজেপি বিধায়কেরা) মার্শালকে মেরেছে। বিধানসভার কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একাধিক বিধায়ক হামলায় আহত হয়েছেন। মাননীয় স্পিকারের কাছে আমাদের দাবি, হামলাকারী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এর পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল শিবিরের দাবি মেনে শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন। তবে, তার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করার পরে বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। তাঁরাই প্রথমে বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা চালান।”

thebengalpost.net
আঘাত দেখাচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা :

তিনি এও বলেন, “আমরা সাসপেনশনের আবেদন-ও করবনা। ওরা চায়না বিধানসভার ভেতরে বিরোধীরা থাকুক। একতরফা বিধানসভা চালাতে চাইছে, চালাক। আমরা বিধানসভার বাইরে প্রতিদিন নকল বিধানসভা বসাব।” অন্যদিকে, বামেদের অভিযোগ, যেহেতু তাঁদের বনধ অনেকটাই সফল হচ্ছিল, তাই তৃণমূল ও বিজেপি পরিকল্পনা মাফিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র মিডিয়ার নজর ঘোরাতেই দুই ফুলের এই পরিকল্পনা বলে বামেদের অভিযোগ।