মণিরাজ ঘোষ, মেদিনীপুর, ২৩ মার্চ: মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা (DSA- District Sports Association)’র উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃমহকুমা ক্রিকেট প্রতিযোগিতার (Sub Divisional Cricket Tournament) ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল বুধবার। জেলা শহর মেদিনীপুরের সুপ্রাচীন অরবিন্দ স্টেডিয়ামে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৪-টি দলকে নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বয়ং সিএবি প্রেসিডেন্ট (CAB President) অভিষেক ডালমিয়া (Abhishek Dalmiya)। অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের সূচনা করার পরই তিনি শহরের উপকণ্ঠে খাসজঙ্গল মৌজায় (আবাস সংলগ্ন) প্রস্তাবিত, আধুনিক ও উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ হওয়া জমি ঘুরে দেখলেন। সিএবি (Cricket Association of Bengal) সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া’র সঙ্গে ছিলেন জেলার অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক তথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সুজয় হাজরা, সিএবি’র জেলা কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জিত তোরই, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সহ সম্পাদক সুতীর্থ সাউ, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সিংহ, জেলা আম্পায়ার ও রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী, অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক প্রদ্যোৎ ঘোষ সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। জমি পরিদর্শনের পর সিএবি প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রস্তাবিত ওই ৭ একর জায়গার ছবিও তুলে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে খাসজঙ্গল মৌজায়, জেলা প্রশাসনের তরফে ৭ একর জমি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা ডিএসএ-কে। খাসজঙ্গল এলাকার সেই জমি আগেই পরিদর্শন করেছিলেন জেলা ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা। তাঁরা পছন্দ করার পর জমি হস্তান্তরের কাজ শুরু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। এবার, ওই জমি পরিদর্শন করলেন স্বয়ং সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। তিনিও জমি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জেলার ক্রীড়া সংগঠনের সদস্যদের তিনি জানান, জমি হস্তান্তর হয়ে গেলে, স্টেডিয়ামের স্কেচ বা নকশা করে পাঠানোর জন্য। তা তিনি রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাবেন। সাংবাদিকদের অভিষেক এও জানান, রাজ্য সরকার খেলাধুলার মানোন্নয়নে প্রভূত কাজ করছে। এর ফলে জঙ্গলমহল সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা উঠে আসছে। তাঁরা কলকাতা এবং ভিন রাজ্যে খেলছেন। ভবিষ্যতেও, জেলা থেকে বাছাই করা ক্রিকেটারদের রাজ্যস্তরে সুযোগ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি আশ্বাস দেন, খুব শীঘ্রই মেদিনীপুরের এই দ্বিতীয় স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে। জেলা ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার তরফে সুতীর্থ সাউ, সুজয় হাজরা, সঞ্জীত তোরই, সন্দীপ সিংহ-রা আশাবাদী, সিএবি’র মধ্যস্থতায় রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রথম পূর্ণাঙ্গ এক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।