দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ৫ মার্চ: “হে মোর চিত্ত,পূণ্য তীর্থে/ জাগো রে ধীরে–/ এই ভারতের মহামানবের/ সাগরতীরে।” ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূর্য যখন মধ্যগগনে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) দামামা না বাজলেও, বিশ্বজুড়ে যখন আক্রান্ত হচ্ছে মানবতা; সেই সময়ই “গীতাঞ্জলি” কাব্যের ‘ভারততীর্থ’ কবিতায় ‘বিশ্বকবি’র এই উদাত্ত আহ্বান বিশ্ব মানবতা আর সৌভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বজুড়ে। অবশ্য, শুধু সেই সময়ই নয়, ভারতবর্ষ আর ভারতবাসী সর্বদাই শান্তির পক্ষে, মানবতার পক্ষে জয়গান গেয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই অশান্ত সন্ধিক্ষণ-ও তার ব্যতিক্রম নয়! শান্তি আর সমঝোতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভারতবর্ষ তথা বাংলার অন্যতম ঐতিহাসিক শহর মেদিনীপুরেও এবার যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির দাবিতে মিছিলে পা মেলালেন শান্তিকামী শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ মানুষ। মেদিনীপুর শহরের নাগরিক বৃন্দের উদ্যোগে “বিশ্বমানবতার পক্ষে আমরা সবাই, যুদ্ধ নয়,শান্তি চাই”- এই আহ্বানকে সামনে রেখে শনিবার বিকেলে মিছিল হলো মেদিনীপুর শহরের রাজপথে।
এদিন, মেদিনীপুর কলেজ গেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্ষুদিরাম মোড় হয়ে গান্ধী মুর্তির পাদদেশে মিছিল শেষ হয়। অংশগ্রহণকারীরা কালো ব্যাজ পরে, প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে, যুদ্ধবিরোধী নানা প্লাকার্ড হতে মিছিলে যোগ দেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা লেখিকা রোশেনারা খান, মিছিলের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সমাজকর্মী সঙ্গীতা সিংহ, সঙ্গীতগুরু জয়ন্ত সাহা, সাহিত্যিক বিদ্যুৎ পাল, রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র ওঝা, নৃত্যশিল্পী সবিতা মিত্র সাহা, বেলদা থেকে আগত শিক্ষক অখিলবন্ধু মহাপাত্র সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের বিশিষ্ট জনেরা এবং মেদিনীপুর শহরের নাগরিক বৃন্দ। বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা লেখিকা রোশেনারা খান বলেন, “আমরা কেউ যুদ্ধ চাইনা, আমরা সবাই শান্তি চাই। একবিংশ শতাব্দীতে সভ্য সমাজে যুদ্ধ জিনিসটা না থাকলেই ভালো।” আজকের মিছিলের মূল উদ্যোক্তা সমাজকর্মী সঙ্গীতা সিংহ বলেন, “যুদ্ধ মানেই ধ্বংস! যেটা কখনই কাম্য নয়। আমরা সকলেই বিশ্ব মানবতার পক্ষে।” তিনি মিছিলে যোগদানকারী সমস্ত নাগরিকবৃন্দ-কে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।