তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: রাতভর শিলাবৃষ্টিতে চরম ক্ষতির মুখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশের চাষিরা। মেদিনীপুর সদরের গড়বেতা, গোয়ালতোড় এবং ঘাটাল মহকুমার কচন্দ্রকোনার আলু ও সরষে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে! বৃহস্পতিবার রাত থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া আর বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলা বৃষ্টির ফলে ক্ষতি হয়েছে বিঘের পর বিঘে আলু ও সরষে চাষের জমির। চাষিদের দাবি, রাতে প্রচন্ড শিলা বৃষ্টির ফলে ভেঙে গিয়েছে আলুর গাছের ডগা।বিঘের পর বিষে সরষে জমি শিলা বৃষ্টির ফলে মাটিতে ঝরে গিয়েছে। এতেই চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকেরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার আমলাশুলি, গোয়ালতোড় এবং চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া ও মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের দাবি আলু চাষের শুরু থেকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার সাথে লড়াই করে তাঁরা চাষ করেছিলেন। তারপরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে সব তছনছ করে দিয়েছে। জেলার কৃষি আধিকারিক দুলাল দাস অধিকারী জানিয়েছেন, “শুক্রবার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত আছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। সেই অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গের পরিমণ্ডলে। তার জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যা চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত। শুক্রবার মূলত রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার একটি বা দুটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি চার জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ আরও কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে রবিবার পর্যন্ত। এদিকে, মেদিনীপুর, খড়্গপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, ক্ষীরপাই সহ রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায় আজই ছিল প্রচার এর শেষ দিন (বিকেল ৫ টা অবধি)! এর মধ্যে, বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশে মন খারাপ প্রার্থী থেকে সমর্থকদের মধ্যে।