তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি: পতাকা, ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। আহত এক বিজেপি কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনাতছ। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের উপর হামলা করেছে তৃণমূল। তাঁদের কর্মীরা পতাকা, ব্যানার লাগানোর সময় এবং প্রচার চালানোর সময় হঠাৎ এসে তৃণমূল কর্মীরা মারধর শুরু করে। তাঁদের এক কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা বিজেপির উপর অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পৌর নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দলীয় প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড। এবার পতাকা ও ব্যানার লাগানো এবং প্রচারে গেলে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে। ঘটনায় জানা যায়, ওই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী সুদীপ কুশারী। তাঁর প্রচারে এদিন বেশকয়েকজন বিজেপি কর্মী ওয়ার্ডে পতাকা, ব্যানার লাগানো ও প্রার্থীর হয়ে প্রচারের কাজ করছিল। বিজেপির অভিযোগ, ওয়ার্ডে পতাকা – ব্যানার লাগাতে গেলে তৃণমূলের জনা চল্লিশেক কর্মী দলীয় পতাকা হাতে প্রচারে বাধা দেয়। এতে বিজেপির তরফে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করা হয় বলে অভিযোগ। রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। তাঁদের দাবি, ১৪-১৫ জন বিজেপি কর্মী প্রচারে ছিল। তাঁদের সকলকেই মারধর করা হয়েছে। একজন কর্মী গুরুতর জখম হলে তাকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের অন্য জায়গায় প্রচারে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুদীপ কুশারী। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি পৌঁছলে তাঁর সামনেই মারধর চলে বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর। ওই ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও প্রচার করা চলবেনা বলে তৃনমুলের তরফে হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপি প্রার্থী। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা এলাকায়।