দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি: শীত বিদায়ের পথে। বসন্ত প্রায় দুয়ারে। স্বাভাবিকভাবেই, মিষ্টি রোদে-মনোরোম আবহাওয়ায় সোমবার থেকে সফলভাবেই শুরু হয়েছে প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে মুক্ত শিক্ষার পাঠশালা- ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ (Paray Shikshalay)। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাক প্রাথমিক থেকে একেবারে সপ্তম শ্রেণী অবধি পড়ুয়ারা খুশি মনে যোগ দিয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়-তে। কোথাও গাছের তলায়, কোথাও মন্দির চালায়, কোথাও স্কুল মাঠে আবার কোথাও পরিষ্কার উঠোনে হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। তবে, পরিকাঠামোগত সমস্যা হয়নি, উচ্চ বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে। স্কুল মাঠেই, গাছের তলায় পাঠদান হয়েছে। বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়-কে অবশ্য নিজেদের মাঠ না থাকার কারণে, একটু দূরে কোথাও গিয়ে পড়াতে হয়েছে। এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বিডিও, ডিআই, এস আই-রা ঘুরে ঘুরে দেখেছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’।
এদিকে, সপ্তাহ শেষেই দেওয়া হয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দুই মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। সেই সময় ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-তে যে ব্যাঘাত ঘটবেই তা বলাই বাহুল্য! যদিও এনিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “ঝড় বৃষ্টির সময় যাতে সমস্যা না হয়, তা দেখে নিতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই, ওই দিনগুলিতে পাঠদান প্রক্রিয়া প্রায় স্থগিত থাকবে। একই সমস্যা হবে মার্চ মাসের পর রোদ বাড়লে। সেজন্যই, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, “পাড়ায় নয়, শ্রেণীকক্ষেই পাঠদান শুরু হোক।” এমনিতেও, সংক্রমণ প্রায় তলানিতে! সেক্ষেত্রে মার্চ মাস থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ১ নং ব্লকের আমলাগোড়া চক্রের রেউদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাড়ায় শিক্ষালয় বসলো ‘সুর সম্রাজ্ঞী’র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিভাবক থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ওয়াসিম রেজা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ভারতী হেমব্রম, সমিতির শিক্ষা অফিসার দীপঙ্কর রায়, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অর্ণব চৌধুরী ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ এর সূচনা করেন।